প্রতি ওয়াক্তে নাপাকি বের হলে ওযু হুকুম কি রুপ? নাপাকি কাপড়ে না লেগে স্বস্থানে থাকলেও কি ওযু ভেঙে যাবে?

Question

আসসালামু আলাইকুম,
১. কারো বিয়ে সম্পৃক্ত প্রাকৃতিক প্রয়োজনের কারণে দিনের বেশীরভাগ সময়ই স্বচ্ছ তরল পানীয় বের হয়। প্রতি ওয়াক্তে প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়ানোর পরও সালাতে তরল পানীয় বের হয়। এটা প্রায় প্রতি ওয়াক্তে হয়।
অনেক সময় বুঝা যায় না কিছু বের হয়েছে কিনা। চেক করলে অনেক সময় দেখা যায়, আবার অনেক সময় দেখা যায় না।
২. তরল পানীয় আওরাহ থেকে না বের হয়ে, স্বস্থানে থাকলেও কি ওযু ভেঙে যাবে? অনেক সময় বাহিরে বের হয় না। কিন্তু আওরাহতে থাকে।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১)

একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবেন যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক সাদাস্রাব/ মযি নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।যদি আপনি সাদাস্রাব/মযি নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।এভাবে যে,যখনই মনে সাদাস্রাব/মযি নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন আপনি টিস্যু বা কাপড় ইত্যাদিকে দেখবেন যে,সত্যিই কি সাদাস্রাব/মযি নির্গত হচ্ছে।যদি নির্গত হয়,তাহলে আপনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবেন।

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-

https://www.ifatwa.info/1746

(২)

আওরাহ থেকে বের না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। কেবলমাত্র স্বস্থান ত্যাগ করলেই অজু করতে হবে।

Comments

উস্তায, আসরের সালাতে পর ট্যিসু দিয়ে চেক করে এক ফোঁটা স্বচ্ছ পানীয় দেখেছি। এতে কি মাযুর বলে গণ্য হবো?

এই সমস্যাটি মূলত উত্তেজনার সাথে সম্পৃক্ত। মযি নিগর্ত হচ্ছে কিনা এটা একটুও বুঝা যায় না। ঈশার সালাতে সমস্যাটা বেশী হয়। ঈশা থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে ওযুর হুকুম কি রুপ হবে?  কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রেও কি করণীয় বলে দিলে ভালো হয়। যেহেতু রমাদানে লম্বা সময় তিলাওয়াত করতে হয়। 

আরেকটি বিষয়, যেহেতু বুঝা যায় না মযি নির্গত হচ্ছে কিনা, তাই এক্ষেত্রে ইশরাকের সালাত কিভাবে আদায় করতে পারি?

আমার ২নং প্রশ্নটি আরেকটু ক্লিয়ারলি জানতে চাচ্ছি। আওরাহ থেকে গড়িয়ে কাপড়ে পরে না, কিন্তু ট্যিসু আওরাহতে প্রবেশ করালে নাপাকি দেখা যায়। এক্ষেত্রে ওযু ভেঙে যাবে?