বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মসজিদ কমিটির উচিৎ।সেই কুরআনে কারীমের কপি গুলো সযত্নে সংরক্ষণ করা।বাইন্ডিং করে রাখা। মসজিদ কর্তৃপক্ষের অনিমতিতে বিনিময়ে আপনি কোনো একটি বা একাধিক কপি নিয়ে আসতে পারবেন।
ড,খালেদ সাইফুল্লাহ এ সম্পর্কে সুন্দর একটি পরামর্শ দিয়েছেন,
অনেক সময় দেখা যায়, কোরআনে কারিম বেশি দিন থাকতে থাকতে পাতাগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং পড়ার যোগ্য থাকে না। যদি এমন হয় তাহলে উত্তম হচ্ছে একটা ভালো জায়গা বেছে মাটিতে কোরআন শরিফটি পুঁতে ফেলা।
যদি এটি করতে সক্ষম না হন তাহলে পানিতেও আপনি ফেলে দিতে পারেন। যদি আপনি মনে করেন যে, মাটিতে রাখলে কেউ হয়তো উঠিয়ে ফেলতে পারে অথবা কোনোভাবে কোরআনের অবমাননা হতে পারে, সেক্ষেত্রে পুড়ে ফেলে আপনি মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারেন, এটি জায়েজ রয়েছে।
ওসমান ইবনে আফফান (রা.) যখন কোরআনে কারিমের মুসহাবগুলো একত্র করলেন তখন যেগুলো অতিরিক্ত রয়ে গেল, দেখলেন যে, এগুলো আর কাজে লাগবে না, তখন সবগুলোকে একসঙ্গে করে পুড়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে পুঁতে দিলেন। ওসমানের (রা.) আমল থেকে এটি আমরা জানতে পেরেছি, সুতরাং এটি করা জায়েজ রয়েছে।
কিন্তু কোরআনে কারিমের যাতে কোনোভাবে অবমাননা না হয়, এটা ডাস্টবিনে অথবা রাস্তায় ফেলা যাবে না অথবা এমন জায়গায় নিক্ষেপ করা যাবে না যেখানে কোরআনে কারিমের অবমাননা হতে পারে। কোরআন শরিফ যদি নষ্টও হয়ে যায় বা যেই পর্যায়েই থাক না কেন কোরআন যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না।