আস সালামু আলাইকুম,
আমার এই প্রশ্নটি আগের প্রশ্নের সাথে রিলেটেড। দয়া করে আগের প্রশ্নটি দেখে নিতে পারেন। লিঙ্ক https://ifatwa.info/93289/
---
জাজাকাল্লহু খয়রন।
আমার গতকালের বলার ভিতরেও কিছুটা ভুল ছিল। অনেক দিন আগের কথা এজন্য স্পষ্ট মনে করতে পারিনাই। তবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর দয়ায় এখন সব মনে পরেছে।
আপনার এই উত্তর দেখার পর অনেকটাই বিচলিত হয়ে যাই। এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তিগফার ও দুয়া করতে থাকি যেন আমাকে ক্ষমা করেন এবং সঠিক রাস্তা দেখান। পরদিন আমি এতটাই বিচলিত হয়েছিলাম, শহরের বড় মাদ্রাসায় যাওয়ার সিদ্ধ্বান্ত নিলাম। রিক্সায় ইসতিগফার পড়তে পড়তে যাচ্ছিলাম এবং আল্লাহর কাছে মনে মনে সাহায্য চাইছিলাম। তখন হঠাত করে আল্লহ যেন একটা কথা মনে করাই দেন, অনেক কিছুই মনে পরে যায়। এরপর ২ দিন ধরে, অনেক জনকে নক দিয়ে, অনেক ইনফরমেশন কালেক্ট করে আমার বিয়ের সময়কার আমার আকীদার ব্যাপারে শিউর হলাম। তাহল, বিয়ের সময় আমি হানাফি মাজহাবেই ছিলাম। তার ৩-৪ মাস পর থেকে একটু একটু পরিবর্তন এবং ১.৫ বছর পর পুরোপুরি আহলে হাদিসদের অনুসরণ করতাম। এবং ৪ বছর পর আমাদের সন্তান হয়।
আসলে আমি আহলে হাদিস মানহাজ অনুসরণ সুবিধার জন্য করিনাই বা হানাফি মাজহাবে আবার ব্যাক করা সুবিধার জন্য করিনাই। মানে বুঝাতে চাচ্ছি, আমি সুবিধাবাদী না। আমার এক ফ্রেন্ড ছিল আলিয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া। সে ছিল আহলে হাদিসের অনুসারী। যার কারনে হানাফিজম থেকে বের হয়ে আহলে হাদিস অনুসারী হই। আবার বর্তমান অনেক হানাফি ওস্তাদ দের ডিবেট শুনে পুনরায় হানাফিজমে ব্যাক করি। মূলত সেই ফ্রেন্ডের সাথে মেসে থাকার ৩-৪ মাস পর থেকে আমি আসতে আসতে আহলে হাদিসের দিকে ঝুঁকতে থাকি। ৭-৮ বছর আগের কথা স্বভাবতই কারো মনে নাই। কিন্তু আল্লাহর ভয় হচ্ছিল, গুনাহের ভয় হচ্ছিল, যে কারণে আমাদের পুরাতন যত ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল সব এক এক করে বের করতে করতে ৭-৮ বছর আগে সেই ফ্রেন্ডের সাথে আমার মেশে থাকার হিস্টোরি খুঁজে পাই। মূলত সে আমার সাথে থাকার ৩ মাস আগেই আমি বিয়েটা করি। তখন আমি হানাফি মাজহাবের অনুসারী ছিলাম।
তবে বিয়ের আগের রাতে আমি স্বভাবতই আমি বিয়েতে করণীয় কি বা, কিভাবে বিয়ে করলে আইনি ঝামেলা করতে পারবে না এসব নিয়ে সার্চ দেই। তখন কোন এক ভিডিওতে অলির ব্যাপারে দেখি। খুব স্বাভাবিক বিচলিত হই। এবং ওলী নিয়ে আরও সার্চ দেই তখন হানাফি ফতোয়া খুঁজে পাই, ওলি ছাড়া বিয়ে হবে। খুব স্বাভাবিক, এক রাতের ভিতর জেনারেল পড়ুয়া স্টুডেন্ট হয়ে হাদিসের সনদ (সহিহ, জাল, জইফ ) ইত্যাদি নিয়ে জানতাম না। তাই ভেবেছিলাম ইমাম আবু হানিফার ফতোয়া মেনে নিলেই হলও। আবার তখন শুনেছিলাম, যদি আলেম কেউ কোন মতামত দেন সেটার উপর আমল করলে সেটা যদি ভুলও হয় তবে আল্লহ পাকড়াও করবেন না। তাই পরদিন সকাল বেলায় বিয়েটা করে ফেলি।
* স্থানীয় মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম, তবে সেখানে ইফটা বোর্ড বন্ধ ছিল। তাই নতুন এক মাদ্রাসায় ফোন করলাম, ওখানে ২ জন মুফতি ছিলেন। একজন মুফতি রেজাউল করিম আবরার হুজুরের ছাত্র। সে বলল বিয়ে হয়ে গেছে এটা নিয়ে সন্দেহে থাকার দরকার নাই।
* আমার বিয়ের ৩-৪ বছড় পর মেয়েকে যখন তুলে নেই তখন আমার পরিচিত একজণের মাধ্যমে (আইওএম এর ছাত্র) আপনাদের কাছে আমার বিয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করি। আপনারা তখন বিবাহ হয়ে গেছে বলেছিলেন। হয়ত আমার ইনফরমেশনের কমবেশের জন্যই। লিংকঃ https://ifatwa.info/16982/?show=16995#a16995
* এছাড়া আরও একটি হাদিস দেখলাম যেটি দিয়ে বাতিল ফতোয়া দিচ্ছে, https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59451
এবং https://sunnah.com/abudawud:2083
বাংলায় বাতিল বলার পর বলেছে যদি মেলামেশা করে তবে স্ত্রীকে ওই পুরুষ মোহর দিবে। বরঙ ইংরেজিতে তাকে হাজবেন্ড বলেছে। দয়া করে এই হাদিসটি একটু বুঝিয়ে দিবেন সংক্ষেপে। আরও একটি ফতোয়া পাই, https://ahlehaqmedia.com/3280-3/
আশা করি এখন আমি আপনাকে আমার ব্যাপারে সব কিছু ক্লিয়ার ধারনা দিতে পারছি। বিয়ের সময় আমি নিঃসন্দেহে হানাফি মাজহাবের অনুসারী ছিলাম। দয়া করে এখন একটু উত্তর দিবেন।
১। বিয়ে হয়েছে কিনা।
২। আর যদি বিয়ে হয়েও যায়, আমি যদি পুনরায় বিবাহ করি তাহলে কোন সমস্যা হবে কিনা।
৩। বিয়ে হয়ে গেছে এটা ভেবে যদি পুনরায় বিয়ে না করি, পরকালে কি আল্লাহ বিয়ে বাতিলের সেই হাদিসের জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন? সারাজীবন কি জিনার গুনাহে থাকব? আল্লাহ মাফ করুন।