আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)

আস সালামু আলাইকুম, 

আমার এই প্রশ্নটি আগের প্রশ্নের সাথে রিলেটেড। দয়া করে আগের প্রশ্নটি দেখে নিতে পারেন। লিঙ্ক https://ifatwa.info/93289/

---

জাজাকাল্লহু খয়রন। 

আমার গতকালের বলার ভিতরেও কিছুটা ভুল ছিল। অনেক দিন আগের কথা এজন্য স্পষ্ট মনে করতে পারিনাই। তবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর দয়ায় এখন সব মনে পরেছে। 

 

আপনার এই উত্তর দেখার পর অনেকটাই বিচলিত হয়ে যাই। এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তিগফার ও দুয়া করতে থাকি যেন আমাকে ক্ষমা করেন এবং সঠিক রাস্তা দেখান। পরদিন আমি এতটাই বিচলিত হয়েছিলাম, শহরের বড় মাদ্রাসায় যাওয়ার সিদ্ধ্বান্ত নিলাম। রিক্সায় ইসতিগফার পড়তে পড়তে যাচ্ছিলাম এবং আল্লাহর কাছে মনে মনে সাহায্য চাইছিলাম। তখন হঠাত করে আল্লহ যেন একটা কথা মনে করাই দেন, অনেক কিছুই মনে পরে যায়। এরপর ২ দিন ধরে, অনেক জনকে নক দিয়ে, অনেক ইনফরমেশন কালেক্ট করে আমার বিয়ের সময়কার আমার আকীদার ব্যাপারে শিউর হলাম। তাহল, বিয়ের সময় আমি হানাফি মাজহাবেই ছিলাম। তার ৩-৪ মাস পর থেকে একটু একটু পরিবর্তন এবং ১.৫ বছর পর পুরোপুরি আহলে হাদিসদের অনুসরণ করতাম। এবং ৪ বছর পর আমাদের সন্তান হয়।

 

আসলে আমি আহলে হাদিস মানহাজ অনুসরণ সুবিধার জন্য করিনাই বা হানাফি মাজহাবে আবার ব্যাক করা সুবিধার জন্য করিনাই। মানে বুঝাতে চাচ্ছি, আমি সুবিধাবাদী না। আমার এক ফ্রেন্ড ছিল আলিয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া। সে ছিল আহলে হাদিসের অনুসারী। যার কারনে হানাফিজম থেকে বের হয়ে আহলে হাদিস অনুসারী হই। আবার বর্তমান অনেক হানাফি ওস্তাদ দের ডিবেট শুনে পুনরায় হানাফিজমে ব্যাক করি। মূলত সেই ফ্রেন্ডের সাথে মেসে থাকার ৩-৪ মাস পর থেকে আমি আসতে আসতে আহলে হাদিসের দিকে ঝুঁকতে থাকি। ৭-৮ বছর আগের কথা স্বভাবতই কারো মনে নাই। কিন্তু আল্লাহর ভয় হচ্ছিল, গুনাহের ভয় হচ্ছিল, যে কারণে আমাদের পুরাতন যত ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিল সব এক এক করে বের করতে করতে ৭-৮ বছর আগে সেই ফ্রেন্ডের সাথে আমার মেশে থাকার হিস্টোরি খুঁজে পাই। মূলত সে আমার সাথে থাকার ৩ মাস আগেই আমি বিয়েটা করি। তখন আমি হানাফি মাজহাবের অনুসারী ছিলাম। 

তবে বিয়ের আগের রাতে আমি স্বভাবতই আমি বিয়েতে করণীয় কি বা, কিভাবে বিয়ে করলে আইনি ঝামেলা করতে পারবে না এসব নিয়ে সার্চ দেই। তখন কোন এক ভিডিওতে অলির ব্যাপারে দেখি। খুব স্বাভাবিক বিচলিত হই। এবং ওলী নিয়ে আরও সার্চ দেই তখন হানাফি ফতোয়া খুঁজে পাই, ওলি ছাড়া বিয়ে হবে। খুব স্বাভাবিক, এক রাতের ভিতর জেনারেল পড়ুয়া স্টুডেন্ট হয়ে হাদিসের সনদ (সহিহ, জাল, জইফ ) ইত্যাদি নিয়ে জানতাম না। তাই ভেবেছিলাম ইমাম আবু হানিফার ফতোয়া মেনে নিলেই হলও। আবার তখন শুনেছিলাম, যদি আলেম কেউ কোন মতামত দেন সেটার উপর আমল করলে সেটা যদি ভুলও হয়  তবে আল্লহ পাকড়াও করবেন না। তাই পরদিন সকাল বেলায় বিয়েটা করে ফেলি।

 

* স্থানীয় মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম, তবে সেখানে ইফটা বোর্ড বন্ধ ছিল। তাই নতুন এক মাদ্রাসায় ফোন করলাম, ওখানে ২ জন মুফতি ছিলেন। একজন মুফতি রেজাউল করিম আবরার হুজুরের ছাত্র। সে বলল বিয়ে হয়ে গেছে এটা নিয়ে সন্দেহে থাকার দরকার নাই।  

* আমার বিয়ের ৩-৪ বছড় পর মেয়েকে যখন তুলে নেই তখন আমার পরিচিত একজণের মাধ্যমে (আইওএম এর ছাত্র) আপনাদের কাছে আমার বিয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করি। আপনারা তখন বিবাহ হয়ে গেছে বলেছিলেন। হয়ত আমার ইনফরমেশনের কমবেশের জন্যই। লিংকঃ  https://ifatwa.info/16982/?show=16995#a16995
* এছাড়া আরও একটি হাদিস দেখলাম যেটি দিয়ে বাতিল ফতোয়া দিচ্ছে, https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=59451
এবং https://sunnah.com/abudawud:2083

বাংলায় বাতিল বলার পর বলেছে যদি মেলামেশা করে তবে স্ত্রীকে ওই পুরুষ মোহর দিবে। বরঙ ইংরেজিতে তাকে হাজবেন্ড বলেছে। দয়া করে এই হাদিসটি একটু বুঝিয়ে দিবেন সংক্ষেপে। আরও একটি ফতোয়া পাই, https://ahlehaqmedia.com/3280-3/

 

আশা করি এখন আমি আপনাকে আমার ব্যাপারে সব কিছু  ক্লিয়ার ধারনা দিতে পারছি। বিয়ের সময় আমি নিঃসন্দেহে হানাফি মাজহাবের অনুসারী ছিলাম। দয়া করে এখন একটু উত্তর দিবেন।
১। বিয়ে হয়েছে কিনা।
২। আর যদি বিয়ে হয়েও যায়, আমি যদি পুনরায় বিবাহ করি তাহলে কোন সমস্যা হবে কিনা। 
৩। বিয়ে হয়ে গেছে এটা ভেবে যদি পুনরায় বিয়ে না করি, পরকালে কি আল্লাহ বিয়ে বাতিলের সেই হাদিসের জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন? সারাজীবন কি জিনার গুনাহে থাকব? আল্লাহ মাফ করুন। crying

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....
মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, 
যেহেতু বিষয়টা অত্যান্ত জটিল স্পর্শকাতর।তাই
আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করে নিবেন।এটা আপনার জন্য ভালো ও কল্যাণকর হবে।প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...