আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in সাওম (Fasting) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
১.  রোজা অবস্থায় পিরিয়ড শুরু হলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকবে কিনা।

২. দুপুর ৩টায় পিরিয়ড শেষ হয়েছে, এমতাবস্থায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত না খেয়ে থাকবে কিনা।
( ২য় পরিস্থিতিতে  নাকি রমাদানের সম্মানার্থে না খেয়ে থাকা "ওয়াজিব"?  যদিও রোজার কাযা করতে হবে পরবর্তীতে)
◑ আমি ভাবতাম রোজাতো হচ্ছে না তাহলে খামোখা না খেয়ে থাকব কেনো!  সেক্ষেত্রে কি ওয়াজিব তরকের গুনাহ হয়েছে আমার?

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/73904/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، أَنَّ امْرَأَةً، سَأَلَتْ عَائِشَةَ أَتَقْضِي الْحَائِضُ الصَّلاَةَ إِذَا طَهُرَتْ قَالَتْ أَحَرُورِيَّةٌ أَنْتِ كُنَّا نَحِيضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَطْهُرُ فَيَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّوْمِ وَلاَ يَأْمُرُنَا بِقَضَاءِ الصَّلاَةِ .

মুআযা আদাবীয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক মহিলা আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করল যে, ঋতুবতী মহিলা যখন ঋতু থেকে পবিত্র হবে তখন কি সে সালাত কাযা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরী গোত্রের মহিলা? আমরা তো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ঋতুবতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম তখন আমাদেরকে সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হল কিন্তু সালাত কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত না। নাসায়ী শরীফ ২৩২০


শরীয়তের বিধান হলোঃ

রমজান মাসে মহিলাদের পিরিয়ডের রোজা না রাখলে অথবা রোজা রাখার পর পিরিয়ড শুরু হলে তার জন্য পানাহার করা বৈধ। তবে অন্য লোকদের সামনে পানাহার করা উচিত নয়। দিনের বেলায় যদি ঋতু বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তাহলে দিনের বাকি অংশে রোজাদারের মতো পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করা ওয়াজিব। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২০)


وہل یکرہ لہا التشبہ بالصوم أم لا؟ مال بعض المحققین إلی الأول؛ لأن الصوم لہا حرام فالتشبہ بہ مثلہ. واعترض بأنہ یستحب لہا الوضوء والقعود فی مصلاہا وہو تشبہ بالصلاة. اہ تأمل (الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ 485،ط: زکریا،دیوبند)

হায়েজার মহিলার জন্য রোযাদারদের সাথে সাদৃশ্য রাখাকে মুহাক্কীকিনে কেরামগন মাকরুহ বলেছেন। কেননা তাদের জন্য রোযা হারাম,তাই রোযাদারদের সাথে সাদৃশ্যও জায়েজ নেই।


রমদান মাসে হায়েজ আসলে বাকি দিন পানাহার থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব। তবে হায়েজের অন্যান্য দিন বা আগে থেকেই হায়েজ চললে পানাহার থেকে বিরত থাকা জায়েজ নেই। অনেকেই এটিকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাই এমতাবস্থায় রোযাদার থেকে অপ্রকাশ্যে পানাহার চালিয়ে যেতে হবে। রোযা অবস্থায় হায়েজ চলে আসলে অপ্রকাশ্যে পানাহার করলে গুনাহ হবেনা।


বিস্তারিত জানুনঃ-

https://ifatwa.info/40937/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১. রোজা অবস্থায় হায়েজ হলে ইচ্ছে করে রোজা ভেঙে ফেলা যাবে। তবে এক্ষেত্রে রোযা ভেঙ্গে না ফেলে বাকি দিন পানাহার থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।

২. আর দিনের বেলায় যদি ঋতু বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, তাহলে দিনের বাকি অংশে রোজাদারের মতো পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করা ওয়াজিব। (আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৪২০) তবে যেহেতু আপনি ভুলে পানাহার করে ফেলেছেন তাই আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষামা চাবেন। আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...