আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।
১. সহবাস করার পর ১০/২০/৩০ মিনিট পর গোসল করার পর যদি নামাজে বসি বা পেটে চাপ লাগে বা এমনিও ভিতর থেকে তরল পদার্থ বের হয়(এটা বির্য কিনা না জানি না) । এটা তখনি হয় যখন সহবাস করা হয়। কখনো ৪/৫/৬ ঘন্টা পরও বের হয়। সেসময় টিস্যু ইউজ করি।
আমার প্রশ্ন আমি কি পবিত্র থাকি??  এই অবস্থায় নামাজ কবুল হবে?
২. একবার মাসিক অবস্থায় সহবাস হয়েছিলো। আমি এর জন্য অনুতপ্ত। আমাকে কি কোন কাফফারা দিতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সহবাসের পর ফরয গোসলের পরবর্তী স্ত্রীর লজ্জস্থান থেকে পুরুষের বীর্য বের হলে, তখন দ্বিতীয়বার আর গোসল ফরয হবে না। বরং তখন শুধুমাত্র অজু করে নিলেই যথেষ্ট হবে। কিন্তু স্ত্রীর লজ্জাস্থান থেকে স্ত্রীর বীর্য বের হলে, তখন বিষয়টা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ্য, যদি স্ত্রী গোসলের পূর্বে ইস্তেঞ্জা করে নেয়, বা শয়ন করে ফেলে, অথবা চলাফেরা করার পরই ফরয গোসল করে, এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীর বীর্য বের হয়, তাহলে এতেও গোসল ফরয হবে না। তবে যদি স্ত্রী সহবাসের সাথে সাথেই গোসল করে নেয়, ইস্তেঞ্জা ইত্যাদি না করে, তাহলে স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার আবার ফরয গোসল করতে হবে।
لما في الفتاوی الهندیة :
"لو اغتسل من الجنابة قبل أن يبول أو ينام وصلى ثم خرج بقية المني فعليه أن يغتسل۔۔۔إذا اغتسلت بعد ما جامعها زوجها ثم خرج منها مني الزوج فعليها الوضوء دون الغسل".
(کتاب الطھارۃ،14/1،رشیدیہ)
 
وفي البحر الرائق  :
"فلو خرج بقية المني بعد البول أو النوم أو المشي لا يجب الغسل إجماعا؛ لأنه مذي وليس بمني؛ لأن البول والنوم والمشي يقطع مادة الشهوة ".
(کتاب الطھارۃ،58/1،دار الكتاب الإسلامي)

(২)
হায়েয অবস্থায় সহবাস করা কবিরা গোনাহ। এর জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়কেই তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। মুস্তাহাব হল, এক দিনার তথা ৪.৩৭৪গ্রাম স্বর্ণ বা তার, অর্ধেক সদকাহ করা। স্বামী স্ত্রী উভয় সামর্থবান হলে, উভয়কেই এই সদকাহ করা মুস্তাহাব। সামর্থ্য না থাকলে তখন মুস্তাহাব হবে না।

"عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم في الذي يأتي امرأته وهي حائض، قال: يتصدق بدينار أو بنصف دينار ."
(كتاب الطهارة، باب كفارة من أتى حائضاً، رقم الحديث:640، ج:1، ص:120، ط:دار إحياء الكتب العربية)

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 298):
"(قوله ويندب إلخ) لما رواه أحمد وأبو داود والترمذي والنسائي عن ابن عباس مرفوعاً «في الذي يأتي امرأته وهي حائض، قال: يتصدق بدينار أو نصف دينار»، ثم قيل: إن كان الوطء في أول الحيض فبدينار أو آخره فبنصفه، وقيل: بدينار لو الدم أسود وبنصفه لو أصفر. قال في البحر: ويدل له ما رواه أبو داود والحاكم وصححه: «إذا واقع الرجل أهله وهي حائض، إن كان دماً أحمر فليتصدق بدينار، وإن كان أصفر فليتصدق بنصف دينار»


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...