বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মাসবুক ব্যক্তির নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
أنه يقضي أول صلاته في حق القراءة وآخرها في حق التشهد حتى لو أدرك ركعة من المغرب قضى ركعتين وفصل بقعدة فيكون بثلاث قعدات وقرأ في كل فاتحة وسورة ولو ترك القراءة في إحداهما تفسد.
মাসবুক ব্যক্তি ক্বেরাত হিসেবে প্রথম থেকে নামাযকে সম্পূর্ণ করবে।এবং তাশাহুদ বৈঠক হিসেবে নামাযের শেষদিককে লক্ষ্য রাখবে।
বিস্তারিত ব্যখ্যা এই যে,
কেউ যদি মাগরিবের শেষ রাকা'ত কে পায়,তাহলে সে দুই রাকা'ত কাযা করবে।এমতাবস্থায় তার তিন রাকা'তেই বৈঠক হবে।(কেননা তার প্রথম রাকা'ত যা ইমামের শেষ বৈঠক ছিলো।তাতে ও সে বৈঠক করেছিলো,এবং পরবর্তী রাকা'তে ও সে বৈঠক করেছে যেহেতু তা তার দ্বিতীয় রাকা'ত,এবং তৃতীয় রাকা'তে ও বৈঠক করেছে যেহেতু তা তার শেষ বৈঠক)এবং সে পরবর্তী দুনু রাকা'তে সূরা ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরাকে মিলিয়ে পড়বে।সে যদি কোনো রাকা'তে ক্বেরাত পরিত্যাগ করে নেয় তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
ولو أدرك ركعة من الرباعية فعليه أن يقضي ركعة يقرأ فيها الفاتحة والسورة ويتشهد ويقضي ركعة أخرى كذلك ولا يتشهد وفي الثالثة بالخيار والقراءة أفضل. هكذا في الخلاصة.
আর যদি চার রাকা'ত বিশিষ্ট ফরয নামাযে কেউ ইমামের সাথে শরীক হয়, এবং সে ইমামের সাথে শেষ এক রাকা'ত পায়,তাহলে সে পরবর্তী রাকা'তে সূরা ফাতেহার সাথে মিলিয়ে ভিন্ন একটি সূরা পড়বে।অতঃপর তাশাহুদ পড়বে।এরপর দ্বিতীয় রাকা'তে ও অনুরূপ সূরায়ে ফাতেহার সাথে মিলিয়ে ভিন্ন একটি সূরা পড়বে।কিন্তু তাশাহুদ বৈঠক করবে না।এরপর তৃতীয় রাকা'তে তার এখতিয়ার থাকবে,সে চাইলে ক্বেরাত পড়তেও পারবে আবার না চাইলে না ও পড়তে পারবে।(কেননা তাতে ক্বেরাত পড়া মুস্তাহাব)(খুলাসাহ)
ولو أدرك ركعتين قضى ركعتين بقراءة ولو ترك في إحداهما فسدت
আর যদি কেউ ইমামের সাথে দুই রাকা'ত পায়, তাহলে সে দুই রাকা'ত কে সূরায়ে ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরা মিলিয়ে পড়বে।যদি সে কোনো এক রাকা'তে সূরা পরিত্যাগ করে ফেলে তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৯১)(কিতাবুল ফাতাওয়া২/২৯২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যদি ঈদের প্রথম রা'কাত ছুটে যায়,তাহলে ইমামের সালাম ফিরারোর পর আপনি প্রথম রা'কাত কে কা'যা করবেন।
প্রথমে তিন অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সূরা কেরাত পড়বেন তার ধারাবাহিক ভাবে নামাযকে সম্পন্ন করবেন।
(২)
জানাজার নামাজে কার যদি এক বা দুই তাকবির ছুটে যায়,তাহলে ঐ নামাজে শরীক হতে পারবে।ইমামের সাথে যে তাকবির গুলো সে পেয়েছে,তারপর চার তাকবীরের অবশিষ্ট তাকবিরগুলো নিজে বলবে।এবং ছুটে যাওয়া দু'আ গুলিকে প্রথম থেকে ধারাবাহিক আদায় করবে।এভাবে যে,ইমাম সাহেবের সালাম ফিরানোর পর, সে তাকবির দিয়ে প্রথমে ছানা পড়বে।তারপর তাকবির দিয়ে দুরুদ শরীফ পড়বে।এভাবে সে জানাযার নামাযকে সম্পন্ন করবে।
(৩)
জায়গা পাক হওয়া জানাযা নামাযের জন্যও শর্ত। তাই নামাযি ব্যক্তির জুতা ও পায়ের নিচের মাটি উভয়টি যদি পবিত্র হয় তবে জুতা পরেও জানাযা নামায পড়তে পারবে,পড়া জায়েয রয়েছে। আর দাঁড়ানোর স্থান পবিত্র হলে জুতা খুলেও দাঁড়াতে পারবে। আর দাঁড়ানোর স্থান অথবা জুতার নিচে অপবিত্র হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জুতা খুলে তার উপর দাঁড়িয়ে নামায পড়বে। কেননা জুতার উপর অংশ সাধারণত পাকই থাকে।
প্রকাশ থাকে যে, জুতার নিচের অংশ যেহেতু অপবিত্র হওয়ার আশংকাই বেশি তাই মসজিদের বাইরে জানাযার নামায পড়লে জুতা পায়ে দিয়ে নামায না পড়াই উচিত। এক্ষেত্রে সতর্কতা হল, জুতা খুলে তার উপর দাঁড়ানো।
(আলবাহরুর রায়েক ১/২৬৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৬২; শরহুল মুনইয়াহ ২০৮; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২)
মোটকথাঃ
পায়ের নিচ পবিত্র থাকা চাই।
(৪)
সে তার আশপাশের মুসল্লিদেরকে ফলো করে নামায পড়বে।