ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
793 হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
389
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)হায়েয অবস্থায় কুরআনের তাফসীর সম্বলিত ঐ সব কিতাব যেগুলোর অধিকাংশ জুড়ে তাফসীর রয়েছে, সেগুলোতো স্পর্শ করা জায়েয হবে না, হ্যা, স্পর্শ না করে শুধুমাত্র তাফসীর পড়ার রুখসত থাকবে ।তবে যেগুলোর অধিকাংশ জুড়েই তাফসীর, সেগুলো স্পর্শ করা যাবে।
''في فتاوی شامی'':
وقد جوّز أصحابنا مس كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً''۔(1/177۔دارالفکر)
'' وفي مراقی الفلاح'' :
''قوله : ( إلا التفسير ) في الأشباه: وقد جوّز بعض أصحابنا مسّ كتب التفسير للمحدث ولم يفصلوا بين كون الأكثر تفسيراً أو قرآناً، ولو قيل به اعتباراً للغالب لكان حسناً۔ وفي الجوهرة: كتب التفسير وغيرها لا يجوز مس مواضع القرآن منها وله أن يمس غيرها''۔(1/95)
(২) হায়েজ অবস্থায় বেশী বেশী তাসবিহ পাঠ করুন,এবং হাদীসে বর্ণিত গুলো পড়ুন।কুরআনে বর্ণিত দু'আ গুলোকে দু'আ হিসেবে পড়তে পারবেন। তাফসীর ও দ্বীনি কিতাবাদি পড়বেন।
(৩) রুকইয়ার জন্য যেই আয়াত গুলো পড়তে হয়, সেগুলো পড়তে পারবেন।
(৪) সূরা মূলক কে রুকইয়াহ হিসেবে পড়ার কথা তো হাদীসে আসেনি। তাই এ সূরাকে পড়া যাবে না।