ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/83558/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَكُلُوا
وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ
الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]
আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের
শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]
□ যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়
১. রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার
সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।
২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছু
শরীরে প্রবেশ করালে।
৩. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।
৪. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদেকের
পর পানাহার করলে।
৫. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে
ইফতার করলে।
৬. ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে।
৭. জোরপূর্বক সহবাস করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর
শুধু কাজা করতে হবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দু’টোই করতে হবে।
৮. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে।
৯. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।
১০. নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।
১১. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ
কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।
১২. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা
গিলে ফেললে।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ক্যালেন্ডারে বা মুসলিম বাংলা অ্যাপস অনুযায়ী
সাহরীর শেষ সময় এক/দুই মিনিট সতর্কতা মূলক আগে দেওয়া থাকে৷ সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি মসজিদে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী
ঠিক একেবারে শেষ সময়ে এই ঘোষণা করে থাকে (আর এটা করাটাই স্বাভাবিক) তাহলে আপনার
রোজা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে পরবর্তীতে সতর্ক থাকবেন যাতে করে এমনটা আর না হয়।