আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in সাওম (Fasting) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার পরিচিত এক কাপল নতুন বিয়ে করেছে, এই রমাদানে দিনের বেলা রোজা অবস্থায় তারা কামনায় তাড়িত হয়ে সহবাস করে ফেলেছে। তারা এই গুরুতর পাপের জন্য লজ্জিত আর তারা কাফফারার কথা আগে জানতোনা। পরে জানতে পেরেছে টানা ৬০ টা রোযা রাখা লাগবে। উক্ত বোন conceive ও করে ফেলছে এই অবস্থায় টানা ৬০ টা রোযা রাখা তার শরীরের জন্য ভালো নাও হতে পারে, সেক্ষেত্রে সে কি ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াতে পারবে, নাকি বাচ্চা হবার পর যখন শারীরিক ভাবে সামর্থ রাখবে তখন টানা ৬০ টা রোযা রাখবে? আর তার স্বামী কি রমাদান শেষ হলেই টানা ৬০ টা রোযা রাখবে? নাকি পরে যেকোন সময় রাখতে পারবে? আর সে কি আপাতত ৬০ জন মিসকিন কে খাওয়াতে পারবে যদি রমাদানের পর পর ই টানা ৬০ টা রোযা রাখা সম্ভব না হয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন
আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম,তখন একব্যক্তি এসে বলল,হে রাসূলুল্লাহ সাঃ আমি ধংস হয়ে গেছি।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তোমার কি হয়েছে?তিনি বললেন, আমি রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তুমি কি কোনো গোলাম পাবে যাকে তুমি কাফ্ফারা হিসেবে আযাদ করবে?সাহাবী বললেন,আমি সক্ষম নই।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,তাহলে কি তুমি ধারাবাহিক দুই মাস রোযা রাখতে পারবে?তিনি বললেন, না,এতে ও আমি সক্ষম নই।তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তাহলে কি তুমি ষাটজন মিসকিন আহার করাতে পারবে?তখন তিনি বললেন,না,এতে ও আমি সক্ষম নই।রাসূলুল্লাহ সাঃ স্বস্থানেই নিরবে বসে থাকলেন।রাবী আবু হুরায়রা রাযি বলেন,আমরা এভাবেই আমরা স্ব স্ব স্থানে বসে রইলাম।তৎক্ষনাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এক আ'রাক্ব পরিমাণ খেজুর আসল,তখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, প্রশ্নকারী কোথায়?সাহাবী বললেন,জ্বী হুুজুর এই তো আমি।তুমি এগুলো নাও,এবং সদকাহ করো।তখন ঐ সাহাবী বললেন হে রাসূলুল্লাহ সাঃ আমি কি আমার থেকে মুহতাজ ব্যক্তিকে সদকাহ করবো?আল্লাহর কসম!মদিনা বাসীদের মধ্যে আমার থেকে গরীব লোক আর কেউ নেই।এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাঃ হেসে ফেললেন, এমনকি উনার দাত বেড়িয়ে পড়ল।অতপর রাসূলুল্লাহ সাঃ ঐ সাহাবীকে বললেন তাহলে তুমি তোমার পরিবারবর্গকে আহার করাও।{সহীহ বুখারী(ফতহুল বারী নসখা)-১৯৩৬ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৭১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৯৪৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১১০৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৯৪৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৫২৭}
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি রোযা ভঙ্গের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার কোনো একটি কাফফারা আদায় করে গুনাহ মুক্তির চেষ্টা করতে হবে। কুরআনে কারীমে বর্ণিত ধারাবারিক তিনটির প্রথমটি হল, গোলাম আযাদ করা, সেটা সম্ভব না হলে, লাগাতার ৬০ টি রোযা রাখা, সেটাও সম্ভব না হলে তখন ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা আহার করাতে হবে অথবা ৬০ জনের প্রত্যেককে একেকটি ফিতরা তথা ১.৬৫০ গ্রাম আটার মূল্য দিতে হবে। যদি রোযা রাখার সামর্থ্য থাকে, তাহলে মিসকিন খাওয়ালে হবে না। এখন উক্ত স্বামী স্ত্রী আল্লাহর কাছে তাওবাহ করবে।এবং একটি কা'যা ও ৬০ টি কাফফারার রোযা রাখবে। এখনই রাখতে হবে এমন নয়, বরং দেড়ীতে রাখলেও কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...