আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহি ওয়াবারকাতুহ
আমার বিয়ে হয়েছে দের মাস হলো।আমার স্বামী তাবলীগে মেহনত করেন।এলাকায় তিনি অনেক দাওয়াতি কাজ করেন যার কারনে তিনি আমার হক ও তার বাবা মায়ের হক ইচ্ছে করেই আদায় করেনা।আমি উনাকে বলেছি আল্লাহ তায়ালা বান্দার হক মাফ করেন না।তার পরিবারের মানুষ যখন আমার হক ঠিকমতো আদায় করতে বলেন তখন তিনি উওর দেন যে কিয়ামতের দিন নাকি যখন মানুষ আল্লাহকে বলবে যে আল্লাহ তোমার এই বান্দা আমাদের হক আদায় করেনি তখন নাকি আল্লাহ তায়ালা সেই হকদারদের বলবেন এই বান্দা আমার দ্বীনের কাজ করেছে এখন তোমরা কি আমার এই সুন্দর জান্নাত চাও নাকি তার কাছে হক চাও।এটা বলে নাকি আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আমার স্বামী আরো একটা উওর দিয়েছে আমাকে যে এক মনে নাকি দুই ভালোবাসা থাকতে পারেনা ( আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও বান্দার প্রতি ভালোবাসা)।
উস্তাদ মেহেরবানী করে উওর গুলো দিলে অনেক উপকৃত হবো।

আরো একটা বিষয় জানা খুবই জরুরি ছিলো।সরাসরি কোনো আলেম থেকে জানার উপায় নেই তাই এখানেই প্রশ্ন করছি আল্লাহ সহজ করুন।
কিছুদিন আগে যখন আমি আমার স্বামীর সাথে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলাম তখন তখন আমাদের সাথে দুইটা বেগ ছিলো।একটা হাত বেগে দুইটা জামা ছিলো আর সামান্য কিছু জিনিস ছিলো। আরেকটা ট্রলি বেগ ছিলো। তো আমার স্বামী হাত বেগটা নেয় আর আমাকে বলে ট্রলি বেগটা যেনো আমি বহন করি।তারপর আমি বললাম এতোবড় ট্রলি বেগ নিতে আমার লজ্জা লাগে।(ট্রলি বেগেও মাএ দুইটা জামা ছিলো আর কিছু জিনিস ছিলো)।এখন আমার স্বামী নাকি কোন আলেমকে প্রশ্ন করেছে এই ব্যাপারে যে আমি কাজটা ঠিক করেছি কিনা।তখন নাকি সেই আলেম বলেছে আমার এই কাজ অহংকারের অংশ।

এখন আমি বুঝতেছিনা সেই আলেম এটা কি করে বললেন।একটা দ্বীনদার মেয়ে তার স্বামী সাথে থাকা  সত্বেও কিভাবে রাস্তার মধ্যে এতো বড় বেগ বহন করবে স্বামীর এবিলিটি থাকা সত্বেও।
স্বামীর বেগ যদি অনেক ভারি হত বা তার কাছে আরো অনেক জিনিজ থাকতো তাহলেতো আমি অবশ্যই সাহায্য করতাম।
মেহেরবানী করে উওরগুলো দিয়ে আমাদের মধ্যেকার মনোমালিন্য দূর করবেন ইনশাআল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عن عَبْد اللَّهِ بْن عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ اللَّهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ ". فَقُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَلاَ تَفْعَلْ، صُمْ وَأَفْطِرْ، وَقُمْ وَنَمْ، فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ بِحَسْبِكَ أَنْ تَصُومَ كُلَّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا، فَإِنَّ ذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ ". فَشَدَّدْتُ، فَشُدِّدَ عَلَىَّ، قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً. قَالَ " فَصُمْ صِيَامَ نَبِيِّ اللَّهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَلاَ تَزِدْ عَلَيْهِ ". قُلْتُ وَمَا كَانَ صِيَامُ نَبِيِّ اللَّهِ دَاوُدَ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ قَالَ " نِصْفَ الدَّهْرِ ". فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يَقُولُ بَعْدَ مَا كَبِرَ يَا لَيْتَنِي قَبِلْتُ رُخْصَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সাওম পালন কর এবং সারারাত সালাত আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন কর আবার সাওম ছেড়েও দাও। (রাতে) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার চোখের হক রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক আছে, তোমার মেহমানের হক আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম পালন করবে। কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সাওম হয়ে যায়।
আমি বললাম আমি এর চেয়েও কঠোর আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন আমলের অনুমতি দেয়া হল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আরো বেশী শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তবে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঊদ (আলাইহিস সালাম) এর সাওম পালন কর, এর থেকে বেশী করতে যেয়ো না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর নবী দাঊদ (আলাইহিস সালাম) এর সাওম কেমন? তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। রাবী বলেন, ’আবদুল্লাহ (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন, আহা! আমি যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম!(সহীহ বোখারী-১৮৫১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীর হক অবশ্যই আদায় করতে হবে। আপনার স্বামী যা বলেছেন, এমন কোনো কথা আমরা শুনিনি। উনার বলবেন, হাদীসের রেফারেন্স দিতে। তাছাড়া নিজে বহন করার সামর্থ্য থাকা সত্তেও স্ত্রীকে দিয়ে বড় ট্রলি ব্যাগ বহন করানো কখনো কোনো বিবেকবান স্বামীর কাজ হতে পারে না। হ্যা, স্বামী কোনো অসুবিধা থাকলে ভিন্ন কথা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...