ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ঘরের কারো কাছে বাচ্ছাকে রেখে নামায পড়ার চেষ্টা করবেন। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে বাচ্ছা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর নামায পড়বেন।
(২)বাচ্চা পায়পার নিয়ে আপনাকে ধরলে যদি আপনার শরীরে নাপাকি না লাগে, তাহলে আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আপনার নামাযের পূর্বে তাকে নতুন ডায়পার পরিয়ে দিবেন।
(৩) দোলনাতে রেখে আপনার সামনে রেখে নামায পড়ে নিলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
(৪)বাচ্চা ফ্লোরে প্রসাব করে দিলে, ঐ জায়গাকে তিনবার ভিজা কাপড় দ্বারা মুছে নিবেন।
(৫) বাচ্ছার হাতে যদি দৃশ্যমান কোনো নাপাকি না থাকে, তাহলে মায়ের স্তনে হাত দেয়ার দ্বারা মায়ের স্তন বা শরীর নাপাক হবে না।
(৬)তোষকে নামায পড়লে যদি কপালে শক্ততা অনুভব না হয়, তাহলে তো নামায হবে না।তাই বাচ্ছাকে দোলনাতে বা গাড়ীতে রেখে নামায পড়ে নিবেন। হ্যা, নাপাক তোষকের উপর জায়নামায বিচিয়ে নিলে নামায হয়ে যাবে।
(৭) জায়নামাজ যেহেতু ভারি, তাই তিন বার চিপা কস্টকর হবে, সুতরাং তিনবার ভিজিয়ে শুকিয়ে নিলেই সেটা পবিত্র হয়ে যাবে।
(৯)বাচ্চা যদি খুব ডিস্টার্ব করে হেল্প করার মতো কেউ না থাকে, যদি মনে হয় এই মুহুর্তে বাচ্চা নিয়ে নামাজ পড়া কোনো ভাবেই সম্ভব না, তাহলে ঐ নামাযকে কাজা করা যাবে।
(১০)বাচ্চা নিয়ে নামাজ পড়া যাবে। সামান্য সড়িয়ে সড়িয়ে নামায পড়ে নিলেই হবে।
(১১) অতিদ্রুত জায়গামত সুন্নত পড়ে নিয়ে তারপর ফরয তারপর সুন্নত পড়ে নিবেন।উল্টাপাল্টা না করাই উত্তম।
(১২) চাপ দেয়া টা বাড়াবাড়ি। এভাবে চাপ দেয়ার কোনো দরকার নাই।
(১৩) সূর্যাস্তের সময়ও আছর পড়া যায় এবং পড়তে হবে।
(১৪) এটা অমূলক সন্দেহ। এরকম সন্দেহ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। সুতরাং এত্থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে।