আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
মুফতি সাহেব, আপনাকে বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি, ইনশাআল্লাহ আমার দ্বারা আর বিরক্ত হবেন না, আজকের পর থেকে।

 আমি গতকালকে একটি প্রশ্ন করেছিলাম সেখানে একটি বিষয় জানতে পারি নি, তাই আবার একটু জানতে চাচ্ছিলাম।

কনের অনুমতি নেওয়ার সময় যিনি নিয়েছিলেন তাকে মেয়ে এভাবে বলে নি যে আপনাকে উকিল করলাম, এই সংক্রান্ত কথাই বলেনি, মেয়েকে উনি বরের পরিচয় দিয়ে বলেন, রাজি থাকলে বলো কবুল/আলহামদুলিল্লাহ (কোনটা বলেছিলো শিওর না) , তখন মেয়ে বলে " আলহামদুলিল্লাহ আমি কবুল"

এবং বরকেও উনি বলেন নি যে আমার উকালতিতে বা এরুপ শব্দ, সরাসরি মেয়ের পরিচয় জানিয়ে প্রস্তাব দেন, এবং বলেন রাজি থাকলে বলো কবুল/আলহামদুলিল্লাহ (কোনটি বলেছিলো মনে করতে পারছি না) তখন বর বললো "আলহামদুলিল্লাহ " ওনারা বললেন জোরে বলো, তখন আবার বললো "আলহামদুলিল্লাহ কবুল করলাম", এমনই কোনো শব্দ বলেছে যার দ্বারা রাজি ও কবুল প্রকাশ পায়।

১. উকিল/উকালতি শব্দের অনুপস্থিতি ও বর কনের কবুল বলার পদ্ধতির কারণে বিবাহের কোনো সমস্যা হবে না তো?

২. আমার কিছু ওসওায়াসার সমস্যা আছে, আপনি হয়তো জানেন,  ওয়ওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তির কি বিয়ে সহিহ হয়?আমার কি বিয়ে সহিহ হয়েছে?
আমার ধর্মীয় ইবাদাতের সব কিছুতে খালি সন্দেহ কাজ করে, তালাক,ওযু,নামাজে এসবে ওসওয়াসা হয় খালি,এছাড়া আমি মানসিক ভাবে সুস্থ বিচার বুদ্ধি, ও পাঠদানেও মাশাআল্লাহ ভালো, শুধু এই কিছু কাজের বেলায় শুধু সন্দেহ কাজ করে...

৩. আমার নিসাব পরিমান সম্পদ নাই, কখনো হয় ও নি কিছু টাকা জমা আছে মাত্র (২৪ হাজারের মতো),  এমন নিকট আত্মীয় কেও যার আায়ের বড় অংশ হারাম ও বাকি হালাল যদি আমাকে তার বাসায় প্রতিদিন ইফতার করার জন্য চাপ দেয় তার বাসায় ইফতার এবং সেহরী করা নি আমার পরিস্থিতি বিবেচনায় বৈধ হবে,যোহেতু আমি যাকাত গ্রহনের ও উপযুক্ত ? না কি তার বাসায় খেলেও আমার জন্য হারাম হবে ও রোজা কবুল হবে না।

৪. https://ifatwa.info/93581/  এর  ৫ নং এর মতো পরিস্থিতিতে বার বার পরলে, কি আমি এসব পাত্তা না দিলে সমস্যা হবে? আমি যদি ভাবি  বউ কে সংখ্যা বলার সময় এসব মনে আসলেও কিছু হবে না এতে কি সমস্যা হবে্?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১.২)
উপরোক্ত বিবাহ সহীহ হয়েছে।

(০৩)
https://ifatwa.info/71830/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু কোনোভাবেই নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,তাই উক্ত আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে সাহরী ইফতার করতে পারবেন।

(০৪)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...