জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে গুনাহ হবে।
(০২)
না,এমতাবস্থায় গীবত হিংসা করা যাবেনা।
(০৩)
যেসব স্থানে বিসমিল্লাহ পড়তে হয়ঃ-
খাবারের শুরুতে : খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে আরম্ভ করলে আল্লাহ তাআলা সেই খাবারে বরকত দান করেন।
আলী (রা.) বলেন, খাবারের হক হলো, খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৩১৩)
ঘরে প্রবেশের সময় :
ঘর থেকে বের হওয়ার সময়।
যে ব্যক্তি ঘর হতে বের হওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলে বের হবে আল্লাহ তাআলা তাকে অনিষ্টতা থেকে হিফাজত করবেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঘর থেকে কেউ বাইরে রওনা হওয়াকালে যদি বলে, উচ্চারণ : বিসমিল্লাহ তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
গাড়িতে আরোহণের সময়।
স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময় : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কোনো লোক যখন তার স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে, আর তখন (মিলনের পূর্বে) বলে, উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ শাইতানা মা রাজাকতানা।
অর্থ : আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ, তুমি আমাদের শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যা আমাদের দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো।
ইস্তেঞ্জা খানায় প্রবেশের সময়।
রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করার সময় : জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘সূর্যাস্তের পরপরই যখন রাত শুরু হয় অথবা বলেছেন, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদের ঘরে আটকে রাখবে। কারণ এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। অতঃপর যখন রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো। তোমার ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো। তোমার পানি রাখার পাত্রের মুখ ঢেকে রাখো এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো। তোমার বাসনপত্র ঢেকে রাখো এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করো। সামান্য কিছু হলেও তার ওপর দিয়ে রেখে দাও।’ (বুখারি, হাদিস : ৩২৮০)
মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখার সময় : ইবনে ওমার (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কবরে লাশ রাখার সময় বলতেন, উচ্চারণ : বিসমিল্লাহি ওয়া বিল্লাহি ওয়া আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লাহ। অর্থ : আল্লাহর নামে এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তরিকার ওপর রাখা হলো। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩২১৩)
যেসব স্থানে আউযু বিল্লাহ পড়তে হয়ঃ-
কুরআন তিলাওয়াত এর আগে।
রাগ উঠলে পড়তে হয়।
হযরত সুলাইমান বিন সুরাদ (রা.) বলেন, “একবার আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসা ছিলাম। এ সময় দুজন লোক পরস্পরকে গালাগাল করছিল। রাগে তাদের একজনের চেহারা লাল হয়ে যায়। গলার রগ ফুলে যায়। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি এমন একটি বাক্য জানি, এ ব্যক্তি যদি সেটি উচ্চারণ করে, তাহলে তার রাগ থেমে যাবে। সে যদি বলে, আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম—‘আমি ধিকৃত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই’, তাহলে তার রাগ থেমে যাবে।” (বুখারি, হাদিস : ৩০৪০)
নামাজে শয়তান কুমন্ত্রণা দিলে।
উসমান বিন আবুল আস (রা.) নবী কারিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! শয়তান আমার মধ্যে এবং আমার নামাজ ও কিরাতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে আমার কিরাতে জটিলতা সৃষ্টি করে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘এ হচ্ছে শয়তান, যাকে ‘খানযাব’ বলা হয়। তুমি তার আগমন অনুভব করলে আল্লাহর নিকট তিনবার আশ্রয় প্রার্থনা করবে (অর্থাৎ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম পাঠ করবে) এবং বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলবে।’ উসমান (রা.) বলেন, এরপর থেকে আমি এমনটি করি। ফলে আল্লাহ তাকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২০৩)
খারাপ স্বপ্ন দেখলে।
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে— যা সে পছন্দ করে না, তাহলে তিনবার বাম দিকে থুথু দেবে। আর তিন বার শয়তান থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় চাইবে (অর্থাৎ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম পাঠ করবে।) আর যে পার্শ্বে শুয়েছিল, তা পরিবর্তন করবে।’ (অর্থাৎ পার্শ্ব পরিবর্তন করে শুবে)। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২২৬২; আবু দাউদ, হাদিস : ৫০২২; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৯০৮)
মনের মধ্যে শয়তান কুমন্ত্রনা দিলে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘শয়তানের কুমন্ত্রণা যদি তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২০০; সুরা ফুসসিলাত, আয়াত : ৩৬)
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)
(০৪)
যেকোনোটি বলা যাবে। সমস্যা নেই।
(০৫)
এমন মনে হলে সমস্যা নেই।
পরবর্তীতে ঐ নেক আমল আরো ভালো করে আদায় করবেন।
(০৬)
জায়েজ আছে।
তার থেকে ভরনপোষণ নেয়াও জায়েজ আছে।
তবে এমন স্থানে দ্বীনদার কাহারো বিবাহ না বসারই পরামর্শ থাকবে।