জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارٰى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ
আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে।
(হাদীসটির হুকুম হাসান : তিরমিযী ২৬৯৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১৯৪, আল জামি‘উস্ সগীর ৯৫৬৫, সহীহুল জামি‘ ৫৪৩৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৩৮০, ইরওয়া ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭২৩।)
,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ "
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদেরই অন্তরভুক্ত (হয়ে যাবে)।
(হাদিস টির হুকুম হাসান : আবূ দাঊদ ৪০৩১, মুসনাদে আহমাদে এরূপ শব্দে হাদীসটি নেই; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একজন মুসলিম হিসেনে এই বৈশাখী ভাতা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।কেননা বিজাতীয় উৎসবে কোনো মুসলমানের কাছ থেকে অপর মুসলমানের জন্য হাদিয়া গ্রহণ জায়েয হবে না।
(০২)
হ্যাঁ, আদায় করা যাবে।
তবে রমজান মাসে আদায় করবেন।
রমজানের পূর্বে নয়।
(০৩)
এতে সেই পানি গলায় চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।
আর সেই পানি ফেলে দিলে রোযার ক্ষতি হবেনা।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
https://ifatwa.info/27476/
(০৪)
এক্ষেত্রে যদি সময় সুযোগ মিলে,সেক্ষেত্রে তারাবিহ পড়ে নেয়া উত্তম।
জামায়াতে আদায়ে ছওয়াব বেশি মিলবে।
তবে একাকীও আদায় করতে পারবে।
সময় সুযোগ না মিললে তারাবিহ আদায় না করা জায়েজ আছে।
(০৫)
এটি তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি নয়।
তারপরেও কেহ যদি এ থেকেও সতর্কতামূলক বেঁচে থাকে,সেটি অনেক উত্তম হবে।
(০৬)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ أَنْ يُؤَخِّرُوا العِشَاءَ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ نِصْفِهِ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, উম্মতের কষ্ট হওয়ার ভয় যদি আমার না হত তাহলে আমি তাদেরকে আদেশ করতাম, তারা যেন ইশার নামায রাতের এক তৃতীয়াংশ বা অর্ধেক পর্যন্ত বিলম্বিত করে। {সুনানে তিরমিজী-১/২৩, হাদীস নং-১৬৭}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঈশার নামাজ কোন সময় পড়া উত্তম,সে সংক্রান্ত যেহেতু স্পষ্ট হাদীস রয়েছে, তাই ইশার নামাজ এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্বিত করে পড়া মুস্তাহাব।
আরো জানুনঃ-
(০৭)
হ্যাঁ,আপনি এভাবে রমাদানের পুরো ফায়দা পাওয়ার আশা রাখতে পারেন।
তবে পরামর্শ থাকবে, প্রত্যেহ অল্প করে হলেও কুরআন তিলাওয়াত করার।