আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in সাওম (Fasting) by (23 points)
edited by
আসসলামু আলাইকুম

১.রমজানের রোজার নিয়ত না করলে কি রোজা হবেনা?যেমন-আজকে ২ রোজা রাখতেছি এমন না বললে কি হবেনা।আমি ভুলে গিয়েছিলাম এরকম নিয়ত করতে তাহলে কি আমার রোজা হয়নি?

২.কোন ছেলের সাথে চ্যাটিং করতে গিয়ে উত্তেজনা ছাড়া কিছু বের হলে কি গোসল ফরয হবে।

৩.বিয়ের কথা চলতেছে। এখন সারাদিন ওই ছেলের কথা মাথায় ঘুরে। এটা কি মনের জেনা হবে?

৪.জাগ্রত অবস্থায় সপ্নদোষ বা খারাপ চিন্তার ফলে গোসল ফরয হলে কি রোজা ভেঙে যাবে?

৫.আমার চোখে ছোটবেলা থেকে সমস্যা। বামচোখে ঝাপসা দেখি আর সে চোখে সানি পড়ে গেছে।বিষয়টা কি পাএকে জানাতে হবে।নাহলে কি বিষয়টা ঠকানো হবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://www.ifatwa.info/1254 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻳُﺆْﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺩِﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻤَﺔِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে।এটাই সঠিক ধর্ম।

قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -:انما الأعمال بالنيات ،
وَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَا عَمَل َلِمَنْ لَا نِيَّةَ لَه -
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।

وَاعْلَمْ أَنَّ النِّيَّةَ لَا تَتَأَدَّى بِاللِّسَانِ؛ لِأَنَّهَا إرَادَةٌ وَالْإِرَادَةُ عَمَلُ الْقَلْبِ لَا عَمَلُ اللِّسَانِ؛ لِأَنَّ عَمَلَ اللِّسَانِ يُسَمَّى كَلَامًا لَا إرَادَةً إلَّا أَنَّ الذِّكْرَ بِاللِّسَانِ مَعَ عَمَلِ الْقَلْبِ سُنَّةٌ فَالْأَوْلَى أَنْ يَشْغَلَ قَلْبَهُ بِالنِّيَّةِ وَلِسَانَهُ بِالذِّكْرِ
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থ সহ আরবী তে মুখস্থ থাকলে ভালো।আরবীতেই বলবেন।তবে অর্থ জানা না থাকলে, মনের কথাকে বাংলাতেই জবান দ্বারা উচ্ছারণ করে নিয়ত করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
রোযা রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ শরীয়তে নাই। মনে মনে নিয়ত করলেই চলবে। মনে এ নিয়ত রাখলেই হবে যে আমি আগামি কাল রোযা রাখব। রোযা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়াই রোযার নিয়ত হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তো রোযার জন্য সাহরী খেয়েছিলেন,সুতরাং আপনার রোযা হয়ে যাবে।
সেহরি খাওয়াই রোযার নিয়ত হিসেবে পরিগণিত হবে। 

(০২)
এক্ষেত্রে গোসল ফরজ হবেনা। 

(০৩)
তাকে নিয়ে কু-চিন্তা করলে অন্তরের যেনা হবে।

(০৪)
হস্তমৈথুন না করা হলে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা। 

(০৫)
আপনার যদি কিছু সময় চশমা পড়ার প্রয়োজনীয়তা থাকে,সেক্ষেত্রে চশমা পড়ার বিষয়টি জানাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
চশমা পড়ে ও লাভ হয়না।মানে আমার চোখটা ঝাপসাই একেবারেই। 
by (561,180 points)
আপন চশমা পড়েই যাবেন,তারা এই ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলে আপনি বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন।
by
আমার পরিবার বিষয়টা লুকিয়ে রাখতে চায়।আমাকে বলতে নিষেধ করছে।কিন্তু আমি চাচ্ছিলাম না লুকাতে।এখন আমার কি করা উচিত? পাএ পক্ষকে কি জানানো উচিত বিষয়টি?? 
by (561,180 points)
আপনি চোখে চশমা পড়েই পাত্রের সামনে যাবেন।

এক্ষেত্রে চোখের সমস্যার বিষয় পাত্র এমনিতেই বুঝতে পারবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...