জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আবু হুরাইরাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন:
إِذَا سَمِعْتُمْ رَجُلًا يَقُولُ: قَدْ هَلَكَ النَّاسُ فَهُوَ أَهْلَكُهُمْ يَقُولُ اللَّهُ: إِنَّهُ هُوَ هَالِكٌ
‘‘যখন তোমরা কাউকে এ কথা বলতে শুনো যে, সকল মানুষই তো ধ্বংস হয়ে গেছে তা হলে জেনে রাখো, সেই হচ্ছে সব চাইতে বেশি ধ্বংস প্রাপ্ত ও পথভ্রষ্ট। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ নিশ্চয়ই সেই হচ্ছে সত্যিই ধ্বংস প্রাপ্ত ও পথভ্রষ্ট’’।
((মুসনাদে আহমাদ্, হাদীস ৭৩৬০, ৭৬৮৫))
কিছু মুহাদ্দিসিনে কেরামগন উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন,
হাদীসটির أهلكهم শব্দে কাফ এর উপর উচ্চারণভেদে দু’টি অর্থ হয়। এক. সে তাদের মধ্যে অধিক ধ্বংসপ্রাপ্ত। দুই. সে তাদেরকে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মনে করেছে। বাস্তবে তারা ধ্বংস হয়েছে এমন নয়। আলেমগণ বলেন, “মানুষ ধ্বংস হয়েছে” এ কথাটি বলা ঐ সময় নিষিদ্ধ, যখন সেটা মানুষদেরকে অসম্মান ও অবজ্ঞা করে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব বুঝানো ও তাদের নিকৃষ্ট করার জন্য বলা হবে। কিন্তু যদি কোন মানুষ নিজের ও অন্যান্য মানুষের মধ্যে দ্বীনদারির অভাব দেখে আফসোস করে বলে যে, “মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে” তখন সেটা নিষেধের আওতায় পড়বে না।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে যে ধরনের কথা উল্লেখ রয়েছে,এটা সহীহ নয়।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এহেন কথা বলা থেকে নিষেধ করেছেন।
(০২)
না,এভাবে মহান রবের আদালত থেকে মাফ পাওয়া যাবেনা।
সাংসারিক জীবনের নিজের আবশ্যকীয় কাজ গুলোও করতে হবে।
স্বামীর হক সংক্রান্ত জানুনঃ-