আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে।

১. কোনো প্রতিষ্ঠান যদি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দেয় এবং কোনো শিক্ষার্থী যদি ভুল/মিথ্যা তথ্য (যেমন মাসিক আয় ২০-২৫ কিন্তু দিল ১০/১৫ হাজার) দিয়ে আবেদন ফর্ম ফিল আপ করে এবং ঐ বৃত্তি পেয়ে যায় তাহলে, তার জন্য বৃত্তির সম্পূর্ণ টাকা গ্রহণ করা হারাম হবে নাকি শুধু ঐ মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য গুনাহগার হবে তবে টাকা গ্রহণ জায়েজ হবে?

২. প্রতিষ্ঠানটি যদি ইসলামী ব্যাংক হয় এবং তারা জানায় যে, বৃত্তির টাকা CSR (Corporate Social Responsibility) ফান্ড থেকে আসে, আর CSR ফান্ডে তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট পারসেন্ট টাকা যায়, তাহলে বৃত্তির টাকা গ্রহণ করা যাবে কি না?

৩. যদি ধরে নেই CSR ফান্ডে সুদ/হারাম টাকার সম্পূর্ণ অংশটুকু যায় তাহলে ঐ ব্যাংকে টাকা রেখে লাভ/মুনাফা গ্রহণ করা জায়েয হবে কি না?

৪. যদি ঐ ইসলামী ব্যাংক থেকে বৃত্তি গ্রহণ হারাম হয় (যেহেতু আমি যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত নই), এবং ঐ টাকা ভোগ করে ফেলি তাহলে আল্লাহ তায়ালা থেকে মাফ পাওয়ার উপায় কি?

এই ৪টি প্রশ্নের উত্তর ধাপে ধাপে দিলে ভাল হয়। জাযাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/11969/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ প্রদান আর গ্রহন উভয়ই গুনাহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ      

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে  কোন খাত থেকে উক্ত ব্যাংক বৃত্তি  দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্র ছাত্রী  দের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।

★সুতরাং ব্যাংক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে থেকে বৃত্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে আপনার উপর যাকাত ফরজ কিনা,আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত ফরজ কিনা?
যদি আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়,বা আপনি না বালিগ হওয়ার ছুরতে আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,আর ব্যাংক যদি পুরো সূদের টাকা দিয়েই উক্ত বৃত্তি প্রদান করে,তাহলে সেটি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ নয়।

ব্যাংক বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সুদের টাকা থেকে  বৃত্তি নেওয়া গরিবদের জন্য জায়েজ, ধনীদের জন্য  জায়েজ নয়।

এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান যদি তাদের হালাল খাত হতে বৃত্তি দেয়,তাহলে সেই বৃত্তির টাকা দিয়ে বৈধ যেকোনো কিছু করতে পারবেন। চাইলে ব্যবসাও করতে পারবেন।
এতে তাদের থেকে অনুমতি নেয়ার আবশ্যকীয়তা নেই।

হ্যাঁ যদি তারা হারাম খাত তথা সুদের টাকা হতে বৃত্তি দেয়,সেক্ষেত্রে আপনি বালেগ হলে এবং নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে সেই বৃত্তির টাকা নিতে পারবেন।

আর যদি আপনি নাবালেগ হোন,সেক্ষেত্রে আপনার বাবা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে আপনি সেই বৃত্তির টাকা নিতে পারবেন।

★তবে এক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দেয়ার গুনাহ হবে।

হ্যাঁ যদি আপনি বালেগ হোন,আর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হোন।
অথবা আপনি নাবালেগ হোন,আর যদি আপনার বাবা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়, সেক্ষেত্রে হারাম খাত হতে দেয়া উক্ত বৃত্তির টাকা আপনি নিতে পারবেননা।

(০২)
আপনি বালেগ হলে এবং নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে সেই বৃত্তির টাকা নিতে পারবেন।

আর যদি আপনি নাবালেগ হোন,সেক্ষেত্রে আপনার বাবা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে আপনি সেই বৃত্তির টাকা নিতে পারবেন।

হ্যাঁ যদি আপনি বালেগ হোন,আর নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হোন।
অথবা আপনি নাবালেগ হোন,আর যদি আপনার বাবা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত বৃত্তির টাকা আপনি নিতে পারবেননা।

(০৩)
জায়েজ হবেনা।

(০৪)
সমপরিমাণ টাকা বৃত্তি প্রদানকারীদের ফিরিয়ে দিতে হবে,অন্যথায় সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনদেরকে দান করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...