একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের বর্ননা দিচ্ছি:
সেন্টারের এক অংশে, প্রথমে মেয়ের বাবাকে,বরের পরিচয় জানিয়ে মেয়ের অনুমতি (এজিন হিসাবে পরিচিত) জিগ্যেস করার জন্য বলা হলো, তিনি আরেকজনকে বললেন সে যেনো অনুমতি জিগ্যেস করে নেয়। সে বরের নাম পরিচত বলে বিয়ের অনুমতি চাইলো, কিন্তু বরের ও তার বাবার পুরো নাম বলে নি (আকিকায় করা নাম অনুযায়ী বলে নি), বরের নামের থেকে হাসান মোহাম্মদ অংশ বাদ দিয়ে এনআইডি অনুযায়ী নাম জিগ্যেস করে বাবার নাম থেকেও একটা অংশ বাদ দিয়ে এনআইডি অনুযায়ী নাম পরিচয় বলে, তবে ছেলে মেয়ের আগে পরিচয় ছিলো, বরকে সে চিনতো তারপর সে অনুমতি দেয়।(উকিল নিযুক্তির জন্য আলাদা শব্দে অনুমতি মনে হয় চায় নাই, শুধু অমুকের সাথে বিয়েতে রাজি কি না, এটা জানতে চইছে, উনার বাবার উপস্থিতিতে)
তারপরে মেয়ের বাবা ওই লোক যে মেয়ের থেকে অনুমতি নিয়েছে তাকে নিয়ে পাত্রের কাছে আসেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন সেখানে, তিনি এরুপ বলেন নি, যে মেয়ের পক্ষ থেকে উকিল হিসাবে এসেছি বা এমন কিছু, শুধু বলেছিলেন মেয়ের অনুমতি এনেছি তার পরে মেয়ের পরিচয় ও মোহরের বর্ননা দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অনেকেই উপস্থিত ছিলো,কনের বাবা বরের বাবা অনেকে, তাদের সামনেই বিয়ে পড়ানো হয়, তবে নির্ধারিত বলা হয় নাই যে এই দুজন হলেন বিয়ের সাক্ষি। সবার সামনে প্রস্তাব দেয় ও বর তা গ্রহন করে অনেকেই ছিলো...সেখানে দাড়ানো
১. উপরের বিয়ে কি সহিহ হয়েছে?
২. বিয়ের দুজন সাক্ষীর জন্য কি মেয়ের অনুমতি দেওয়া বা এজিনের অংশ ও নিজে শ্রবন করা জরুরী? না কি অনুমতি নিয়ে আসার পরে বরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নেওয়া এটা শুনা জরুরী? শুধু অনুমতি নিয়ে উকিল নিযুক্তের বিষয়ে স্পষ্ট কথা না বললে কি সমস্যা হবে?
৩ . বর কনের বা তাদের বাবার, আকিকা অনুযায়ী দেওয়া নাম ছাড়া এনআইডি অনুযায়ী লেখা নামে বিবাহ পড়ালে কি বিবাহ সহিহ হবে?
৪. উপরে তো মেয়ের বাবা অনুমতি নেন নি ও তিনি প্রস্তাব ও দেন নি তবে, নিজে উপস্থিত ছিলেন, সব দেখছেন আরেকজনকে বলেছেন সে যেনো অনুমতি নেয়। এমনটা হলে কি তাকে ওলির অনুমতি নিয়ে বিয়ে, বলে?...?
৫. এটা জানা আছে যে এমনিতে সংখ্যা লিখার সময় যদি তার মাথায় তালাক শব্দ চলে আসে তাহলে সমস্যা হয় না কিন্তু শায়েখ,
স্ত্রীকে কোনো ম্যাসেজে সংখ্যা লিখে দেওয়ার সময়, সংখ্যা টি লিখার পরে পরে তার মাথায় তালাক শব্দটি চলে আসে, মাঝে মাঝে সে তাড়ানোর চেষ্টা করে মাথা থেকে মাঝে মাঝে মাথায় আসার পরেও সে মাথা থেকে তা তাড়ায় না,তাই অন্য কাজে সংখ্যা টি লিখার পরে পরেই তার মাথায় তালাক শব্দটি আসে। তার যদি তালাকের কোনো ইচ্ছে না থাকে,তাও এরুপ হয়, তবে কি তালাক হবে? (যেমন: তোমারে ৫০০০ টাকা দিবো,এটা লিখতে গিয়ে সংখ্যা বলার পরপর তার মাথা তালাক শব্দ এসে যায়)