আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
edited by
একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের বর্ননা দিচ্ছি:

সেন্টারের এক অংশে,  প্রথমে মেয়ের বাবাকে,বরের পরিচয় জানিয়ে মেয়ের অনুমতি (এজিন হিসাবে পরিচিত)  জিগ্যেস  করার জন্য বলা হলো, তিনি আরেকজনকে বললেন সে যেনো অনুমতি জিগ্যেস করে নেয়।  সে বরের নাম পরিচত বলে বিয়ের অনুমতি চাইলো,  কিন্তু বরের ও তার বাবার পুরো নাম বলে নি (আকিকায় করা নাম অনুযায়ী বলে নি), বরের নামের থেকে হাসান মোহাম্মদ অংশ বাদ দিয়ে এনআইডি অনুযায়ী নাম জিগ্যেস করে বাবার নাম থেকেও একটা অংশ বাদ দিয়ে এনআইডি অনুযায়ী নাম পরিচয় বলে, তবে ছেলে মেয়ের আগে পরিচয় ছিলো, বরকে সে চিনতো তারপর সে অনুমতি দেয়।(উকিল নিযুক্তির জন্য আলাদা শব্দে অনুমতি মনে হয় চায় নাই, শুধু অমুকের সাথে বিয়েতে রাজি কি না, এটা জানতে চইছে, উনার বাবার উপস্থিতিতে)
তারপরে  মেয়ের বাবা ওই লোক যে মেয়ের থেকে অনুমতি নিয়েছে তাকে নিয়ে পাত্রের কাছে আসেন এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন সেখানে, তিনি এরুপ বলেন নি, যে মেয়ের পক্ষ থেকে উকিল হিসাবে এসেছি  বা এমন কিছু, শুধু বলেছিলেন মেয়ের অনুমতি এনেছি তার পরে মেয়ের পরিচয় ও মোহরের বর্ননা দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন। অনেকেই উপস্থিত ছিলো,কনের বাবা বরের বাবা অনেকে, তাদের সামনেই বিয়ে পড়ানো হয়, তবে নির্ধারিত বলা হয় নাই যে এই দুজন হলেন বিয়ের সাক্ষি। সবার সামনে  প্রস্তাব দেয় ও বর তা গ্রহন করে অনেকেই ছিলো...সেখানে দাড়ানো

১. উপরের বিয়ে কি সহিহ হয়েছে?

২. বিয়ের দুজন সাক্ষীর জন্য কি মেয়ের অনুমতি দেওয়া বা এজিনের অংশ ও নিজে শ্রবন করা জরুরী? না কি অনুমতি নিয়ে আসার পরে বরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নেওয়া এটা শুনা জরুরী? শুধু অনুমতি নিয়ে উকিল নিযুক্তের বিষয়ে স্পষ্ট কথা না বললে কি সমস্যা হবে?

৩ . বর কনের বা তাদের বাবার, আকিকা অনুযায়ী দেওয়া নাম ছাড়া এনআইডি অনুযায়ী লেখা নামে বিবাহ পড়ালে কি বিবাহ সহিহ হবে?

৪. উপরে তো মেয়ের বাবা অনুমতি নেন নি ও তিনি প্রস্তাব ও দেন নি তবে, নিজে উপস্থিত ছিলেন, সব দেখছেন আরেকজনকে বলেছেন সে যেনো অনুমতি নেয়। এমনটা হলে কি তাকে ওলির অনুমতি নিয়ে বিয়ে, বলে?...?

৫. এটা জানা আছে যে এমনিতে সংখ্যা লিখার সময় যদি তার মাথায় তালাক শব্দ চলে আসে তাহলে সমস্যা হয় না কিন্তু শায়েখ,

স্ত্রীকে কোনো ম্যাসেজে সংখ্যা লিখে দেওয়ার সময়, সংখ্যা টি লিখার পরে পরে তার  মাথায় তালাক শব্দটি চলে আসে, মাঝে মাঝে সে তাড়ানোর চেষ্টা করে মাথা থেকে মাঝে মাঝে মাথায় আসার পরেও সে মাথা থেকে তা তাড়ায় না,তাই অন্য কাজে সংখ্যা টি লিখার পরে পরেই তার মাথায় তালাক শব্দটি আসে। তার যদি তালাকের কোনো ইচ্ছে না থাকে,তাও এরুপ হয়, তবে কি তালাক হবে? (যেমন: তোমারে ৫০০০ টাকা দিবো,এটা লিখতে গিয়ে সংখ্যা বলার পরপর তার মাথা তালাক শব্দ এসে যায়)
by (24 points)
শায়েখ দুই এক লাইন এডিট করেছি, নতুন কোনো প্রশ্ন করি নি,যদি এডিট করা লেখা দেখেই ফতোয়া দিয়ে থাকেন একটু জানাবেন, না হলে এই নিয়ে মনে আরো খুতখুতে থেকেই যাবে, যা শান্ত হবে না। প্লিজ শায়েখ এইটুকু অনুগ্রহ করবেন, জানাবেন এডিটের পরে লেখা পড়েই জবাব জানাচ্ছেন কি না।..

অনেক ধন্যবাদ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

ومن امر رجلا بأن يزوج ابنته الصغيرة، فزوجها والأب حاضر بشهادة رجل واحد سواهما جاز النكاح (هداية، كتاب النكاح-2\3-7، الدر المختار مع الشامى-4\94، هندية-1\268)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার ছোট মেয়ের বিবাহের জন্য একজনকে আদেশ করে,তারপর সে তার ছোট মেয়েকে বিবাহ দিয়ে দেয় তার বাবার উপস্থিতিতে,তাদের দুইজন ব্যাতিত আরো একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে।
তাহলে এই বিবাহ হয়ে যাবে।  
 
বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
উপরের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

(০২)
বিয়ের দুজন সাক্ষীর জন্য মেয়ের অনুমতি দেওয়া বা এজিনের অংশ ও নিজে শ্রবন করা জরুরী নয়। এক্ষেত্রে মেয়ের অভিভাবক/উকিল অনুমতি নিলেই হবে।  অনুমতি নিয়ে আসার পরে বরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নেওয়া এটা সাক্ষীদের শোনা জরুরী।

(০৩)
বিবাহ সহীহ হবে।

(০৪)
হ্যাঁ, বলে।

(০৫)
এটি ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্ন।
ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...