ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/45593/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
প্রত্যেক নর-নারীর ওপর কুরআন এতটুকু
সহিহ শুদ্ধ করে পড়া ফরজে আইন,
যার দ্বারা লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয় না।
লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার
দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। অতএব কমপক্ষে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য যে সুরাগুলোর প্রয়োজন, সেগুলো (সুরা
ফাতেহা ব্যাতিত কমপক্ষে চারটি সুরা) শুদ্ধ করে নেওয়া আবশ্যক, অন্যথায় সে গুনাহগার
হবে।
মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের
বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ
الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে।
-সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا
القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস ১৪৬৮
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম ইরশাদ করেছেন, (কিয়ামতের দিন)
কুরআনের তিলাওয়াতকারী বা হাফেজকে বলা হবে-
اقْرَأْ،
وَارْتَقِ، وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا، فَإِنَّ مَنْزِلَكَ
عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا.
তিলাওয়াত করতে থাক এবং উপরে উঠতে
থাক। ধীরে ধীরে তিলাওয়াত কর,
যেভাবে ধীরে ধীরে দুনিয়াতে তিলাওয়াত করতে। তোমার অবস্থান হবে
সর্বশেষ আয়াতের স্থলে যা তুমি তিলাওয়াত করতে। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৪; জামে তিরমিযী, হাদীস ২৯১৪
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'তোমাদের মধ্যে
সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করে ও কোরআন শিক্ষা দেয়।' (আবু দাউদ : ১৪৫২)
নবী করিম (সা.) আরো ইরশাদ করেছেন,
'যারা সহি শুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে, তারা নেককার
সম্মানিত ফেরেশতাদের সমতুল্য মর্যাদা পাবে এবং যারা কষ্ট সত্ত্বেও কোরআন সহি শুদ্ধভাবে
পড়ার চেষ্টা ও মেহনত চালিয়ে যায়,
তাদের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সওয়াব। (আবু দাউদ : ১৪৫৮)
নামাজের কেরাতে অর্থ বিকৃত হয়ে যায়, এমন ভুল পড়লে
নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। চাই তা তিন আয়াত পরিমাণের ভেতর হোক বা পরে হোক- সর্বাবস্থায় একই
হুকুম। পক্ষান্তরে সাধারণ ভুল- যার দ্বারা অর্থ একেবারে বিগড়ে যায় না, তাতে নামাজ নষ্ট
হবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১১৮, ফাতাওয়া কাজিখান ১/৬৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিগত
দিনের আপনার নামাজগুলো সহীহ হয়ে গিয়েছে। কারণ, উক্ত একটি আয়াত বাদ যাওয়ার কারণে অর্থের
মধ্যে তেমন কোনো বিকৃতি বা পরিবর্তন হয়নি।