আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
872 views
in সালাত(Prayer) by (72 points)
কতটুকু দূরত্বে সফর করলে নামায কসর করা বৈধ? কসর নামাজ এর শর্ত এবং সম্পূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই।
চলন্ত বাসে কিভাবে এবং কত রাকাত সালাত আদায় করব?
চলন্ত বাসে নামাজ না পড়তে পারলে তা কাজা করে নিলে কি গুনাহগার হবে?
by
Amra aro erokom q.er ans Cai. .... ...sob kisor ans Cai...goggole app thak

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)বিস্তারিত জানুন-১২৮১

তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429


মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়।অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে।দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে। এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।

তবে সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়,তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে।এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ করা যাবে না।বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ।সময় সুযোগ না থাকলে অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫১৭)তবে পড়ে নেয়াটা-ই উত্তম।কেননা বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরের সময় সুন্নাত পড়েছেন।(তিরমিযি-১/৭২)

 
বিতির নামায ওয়াজিব।বিতিরে কসর প্রযোজ্য নয়।এবং পরিত্যাগ করাও যাবে না।বরং সফরের হালতেও বিতির নামাযকে পড়তে হবে।
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৪/৩৩১

 বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/737



এ সম্পর্কে ফাতওয়ায়ে রাহমানিয়াতে(১/৩৪৮পৃঃ) সবিস্তারে বর্ণিত আছে,প্রয়োজনীয় অংশ নিচে উল্লেখ করা হচ্ছে......

এখানে তিনটি বিষয় জেনে রাখার দরকারঃ
১মঃ দাঁড়িয়ে নামায পড়া ।
২য়ঃ কিবলার দিকে মুখ রাখা ।
৩য়ঃ নিয়ম মুতাবিক রুকু-সিজদা সহ নামায পড়া । অর্থাৎ, ইশারায় রুকূ সিজদা না করা । 

যদি ট্রেন বা লঞ্চে বা বাসে উল্লেখিত তিনটির কোন একটি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে নিবে । কিন্তু পরে দোহরানো জরুরী হবে।

গাড়ীতে লঞ্চে বা বাসে নামায পড়ার নিয়ম এই যে, প্রথমে দাঁড়িয়ে তাহরীমা বাঁধার পর পড়ে যাওয়ার ভয় থাকলে হেলান দিয়ে বা কোন কিছুকে ধরে দাঁড়াবে । মনে রাখতে হবে- হাত বাঁধা সুন্নাত । কিন্তু দাড়ানো ফরয । কাজেই প্রয়োজনের সময় সুন্নাত তরক করে ফরয আদায় করতে হবে । গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে । সিজদার সময় পিছনের সিটে পা ঝুলিয়ে বসে সামনের ছিটে কম করে ১ তাসবীহ পরিমাণ সময় সিজদা করবে । আর খালি জায়গা পেলে লঞ্চে, বাস বা ট্রেনের ফ্লোরে সিজদাহ করবে । আর যদি সিজদা করার মত কোন খালি জায়গা না পাওয়া যায়, তাহলে ইশারায় রুকূ-সিজদা করে নামায পড়ে নিবে । তবে এ ক্ষেত্রে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছে নামায দুহরিয়ে পড়তে হবে । 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/573

মুসাফির চলন্ত বাসে কসর নামায পড়বে।আর মুকিম পূর্ণ নামাযই পড়বে।

চলন্ত বাসে নামাজ না পড়তে পারলে তা কাজা করে নিলে কি গুনাহগার হবে?
এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায় যে,ইচ্ছাকরে না পড়লে,এবং নামাযের ওয়াক্ত চলে গেলে অবশ্যই গোনাহ হবে।তবে চলন্ত বাসে নামাযের চেষ্টা করেও যদি কেউ পড়তে না পারে,তাহলে তার গোনাহ হবে না।কা'যাই তার জন্য যথেষ্ট হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...