ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নিরাপত্তাজনিত কারণে আর ছাপানো হচ্ছে না,তবে লিখক/প্রকাশনীর পক্ষ থেকে সরাসরি বইগুলোর কপি করার অনুমতিও দেয়া হয়নি। এ জাতীয় বইয়ের কোনো কপি বা পিডিএফ নিজের জন্য সংগ্রহ করে রাখা যাবে এবং পড়াও যাবে।কেননা এখানে অন্যর হক নষ্ট করার অপবাদ আসবে না।এবং এ জন্য কোনো গোনাহ ও হবে না।
নামে মুসলিম কিছু লেখক আছে যারা উপন্যাস কবিতা এসব লিখেন। তাদের লেখায় ইসলাম বহির্ভূত/বিরোধী লেখাও পরিলক্ষিত হয়, এধরণের পিডিএফ পড়া যাবে না।প্রথমত, ইসলাম বিরোধী লিখা তাতে থাকার জন্য, দ্বিতীয়ত, পিডিএফ পড়লে তাক হক নষ্ট হবে।
বিদেশী লেখকদের মধ্যে যারা অমুসলিম তাদের বইয়ের অননুমোদিত পিডিএফ পড়াও জায়েয হবেনা।কেননা এখানেও হক নষ্ট করা হবে।মুসলিমের হক যেভাবে নষ্ট করা যায় না,ঠিকতেমনি কোনো অমুসলিমের হককেও নষ্ট করা যাবে না।।
স্বত্ব সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বাণী
আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি।এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,' যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই,তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির।(যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।)আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস নং২৯৪৭)
আল্লামা মুনাবী রাহ[আব্দুর রউফ আল মুনাবী, মৃত্যু:১০৩১হি,] যদিও এই হাদীসটিকে পতিত ও অনাবাদী জমিন ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলার অর্থে প্রয়োগের বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন, তথাপি তিনি কোনো কেনো উলামায়ে কেরাম থেকে এ বর্ণনাও উদ্ধৃত করেছেন যে,এই হাদীসটির মর্মে যাবতীয় ঝরণা, কূপ এবং খণিজসম্পদ অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি এসবের কোনো একটিতে প্রথম অগ্রসর হবে,ওই জিনিসটির সত্ত্বাধিকারী ওই ব্যক্তিই সাব্যস্ত হবে।এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে,যে কোনো বাক্যে শব্দের ব্যাপকতাই গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে,তা কোনো নির্দিষ্ট কারণের প্রেক্ষিতে বলা হলেও সেই কারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ হয় না।(ফায়জুল কাদীর:৬/১৩৮)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে,কোনো কিতাব নতুন হেক বা পুরাতন হোক,সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো কপি করা যাবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।