আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
উস্তাদ প্রশ্ন গুলা জানা খুবি জরুরী ছিল-

১/ইস্তেহাজার সমস্যা হলে প্রতি ওয়াক্তে নতুন করে অজু করে সালাত আদায় করা লাগে সেটা জানতাম।কিন্তু আমি এমনটা করতে ভুলে গিয়েছি।ইস্তেহাজার  সময় এক অযু দিয়ে একাধিক ওয়াক্তের নামায পড়েছি।এখন ভুলে এমনটা করার কারনে আমাকে কি এই সব গুলা নামায আবার কাজা আদায় করা লাগবে?

২/ এক থেকে দেড় বছরের বাচ্চা যদি কোন জায়গায় পস্রাব করে এবং সেই পস্রাব শুকিয়ে যায় তাহলে উক্ত শুকানো পস্রাবের স্থানে কেউ বসে যাওয়ার পর তার পোষাক থেকে যদি সেই পস্রাবের গন্ধ পাওয়া যায় তাহলে কি সেই পোষাক কে নাপাক ধরা হবে?আমি ভুল করে সেই জামা দিয়ে নামায পড়ে ফেলেছি।

৩/  ৪ রাকাত বিশিষ্ট নামাজে দ্বিতীয় রাকাতে সেজদা থেকে আল্লাহু-আকবার বলে উঠে তাশাহুদ পাঠ করে আবার আল্লাহু-আকবার বলে উঠে দাঁড়াতে হয়।কিন্তু আমি সেটা জানতাম না।আমি সেজদা থেকে আল্লাহু-আকবার বলে উঠে তাশাহুদ পাঠ করে আবার আল্লাহু-আকবার বলতাম না।তাশাহুদের পর আবার আল্লাহু-আকবার না বলে এমনি তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে   যেতাম।এখন এর জন্য কি আমাকে অতীতের সব নামায আবার কাজা আদায় করা লাগবে?নাকি নামায হয়ে গেছে?

৪/ হায়েয যখন প্রায় সুস্থ হয়ে আসে তখন হায়েযের রক্ত ধীরে ধীরে সাদা স্রাবে রুপান্তর হওয়ার কারনে এগুলা অনেকটা গাঁঢ়ো হয়ে যায়।এজন্য তখন আর এগুলা লজ্জাস্থানের বাইরে বের হয়না।লজ্জাস্থানের ভিতরে থেকে যায়।এখন এগুলা যেহেতু লজ্জাস্থানের বাইরে বের হয়না তাহলে কি আমরা হায়েযের সুস্থতা ধরে নিব?নাকি লজ্জাস্থানের ভিতরেই হায়েযের রক্ত সম্পূর্ণ সাদাস্রাবের রূপ নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করব?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)ইস্তেহাযার সময় এক অযু দিয়ে একাধিক ওয়াক্তের নামায পড়া হলে, এখন ঐ সব নামাযকে আবার পূনর্বার আদায় করা লাগবে। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 

(২)এক থেকে দেড় বছরের বাচ্চা যদি কোন জায়গায় প্রস্রাব করে এবং সেই প্রস্রাব যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে উক্ত শুকানো প্রস্রাবের স্থানে কেউ বসে যাওয়ার পর তার পোষাক থেকে যদি সেই পস্রাবের গন্ধ পাওয়া যায়, তাহলেও সেই পোষাক কে নাপাক ধরা হবে না। নামায পড়া হলে দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(৩)  তাশাহুদের পর আবার আল্লাহু-আকবার না বলে এমনি এমনি তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা তখন যে তাকবির দেওয়া হয়, সেটা সুন্নত। সুন্নত তরক হলে নামায ফাসিদ হয় না।তবে ইচ্ছাকৃত সুন্নত তরক করা কখনো বৈধ হবে না।

(৪) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী তখন হায়েযের সুস্থতা ধরে নিবেন। লজ্জাস্থানের ভিতরেই হায়েযের রক্ত সম্পূর্ণ সাদাস্রাবের রূপ নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো প্রয়োজনিয়তা পড়বে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...