আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)

আস সালামু আলাইকুম। 

আমার প্রশ্ন খুবই স্পর্শ কাতর। সুতরাং উপযুক্ত লোক ছাড়া কেউ উত্তর দিবেন না এবং আমার পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ রইল। 

আমার স্ত্রী এবং আমি ব্যাচমেট ছিলাম। দুজন দুজনকে পছন্দ করতাম। মেয়ের মা-বাবা (আমার শ্বশুর-শ্বাশুরি) এর ভিতর ঝগড়া চলত অনেক। মেয়ের মা একসময় মেয়ের বাবকে তালাক দেন। সেই তালাকে মেয়েকে সাক্ষী রাখেন। কিছুদিন পর লুকিয়ে বিয়ে করেন আরেক লোককে। যেই উদ্দ্যেশ্য ছেলে-মেয়ে কেউই জানত না। এরপর সেই নতুন বিয়ে করা লোকের ছেলের সাথে তার মেয়েকে (আমার বর্তমান স্ত্রী) আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে বিয়ে দেন। সেই বিয়েতে ওলী (মেয়ের বাবা) ছিলেন না, এমনকি সে নিষেধ ও করেছিলেন। কিন্তু তখন মেয়ে জানত না সম্পর্কে সে তার সৎ ভাই কে বিয়ে করেছে। এরপর সংসার এক বছরও টিকে নাই। 

বিচ্ছেদের পর মেয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি প্রথমে নিষেধ করলেও, পরে ওর কান্নাকাটি দেখে খারাপ লাগে। এবং তাকে বলি ইদ্দত পালন করতে। এইদিকে ওই মেয়ের বাসায় আমার ব্যাপারে কথা বলে। তারা (আপন বাবা-মা) এবার আমার ব্যাপারে রাজি হন। এবং আমার জবের জন্য অপেক্ষা করতে চান। ইদ্দতের সময় শেষ হওয়ার আগেই মেয়ের মা আবার ছেলে খুঁজা শুরু করেন। মেয়ের বাবা আমার জন্য তখনও রাজি ছিলেন। এরপর ইদ্দতের সময় শেষ হওয়ার ১০-১৫ দিন পর বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই বিয়ে করার সিধ্বান্ত নেই তাদের না জানিয়ে। উল্লেখ্য আমি তখন সবে মাত্র দ্বীনের পথে ফিরতে শুরু করেছিলাম। তাই ইদ্দত পালন, সাক্ষী এসব নানা বিষয়ে সতর্ক থাকার চেষ্টা করেছিলাম। 

তখন ছিল রমজান মাস। আমি অনলাইনে অনেক রিসার্চ করলাম। যেটা পেলাম প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষ সাক্ষী লাগবে, ইজাব কবুল করতে হবে। এবং সবচেয়ে কনফিউজিং যেটা পেলাম তা হল মেয়ের ওলী নিয়ে। আমার বাপ দাদা সবাই হানাফি ফিকহ অনুসরণ করেন। আমিও তাই করতাম। তবে বিয়ের সময় যখন দ্বীনের পথে ফেরা শুরু করলাম, একটু একটু সালাফীদের (আহলে হাদিস) মতবাদ ভালো লাগা শুরু হয়েছিল। তখনও নিজেকে হানাফিই ভাবতাম, জাস্ট কিছু কিছু মাসয়ালা সালাফীদের ফলো করতাম। বিপত্তিটা বাধল এখানেই, কারণ হানাফি মাজহাবে ওলী ছাড়া বিয়ে জায়েজ, আর অন্য সবগুলোতে বিয়ে বাতিল। মেয়েকেও কয়েকবার নিষেধ করেছিলাম। পরে আমি আমি সাড়া রাত এটা নিয়ে ভাবলাম। শেষে সকালে ভাবলাম যেকোন একজন আলিমের ফতোয়ার উপর ভিত্তি করেই তো কাজ করা যায়। শেষে হানাফি মাজহাবের মতটাকেই প্রাধান্য দিয়ে ৪ জন মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুলের মাধ্যমে রমজান মাসে দিনের বেলায় বিয়ে করি। বিয়ে পর পরেই মেয়ে মেয়ের বাবাকে এবং মাকে ফোন দিয়ে জানায় বিষয়টা। তারা শুধু বলে যে আমাদের জানিয়েও করা যেত, তারা মেনে নেয় এবং আমাকে তাদের বাসায় যেতে বলে। তবে আমার বাড়িতে দেড় বছর পর জানাই। 

 বিয়ের সময় আমি সবেমাত্র দ্বীনে ফিরছিলাম। পুরাপুরি তখনও ফিরি নাই। তাই সহীহ হাদিস, কুরআন, দলিল এসব নিয়ে ততটা ধারনা স্পষ্ট ছিলনা। তাই হয়ত ওলী ছাড়াই বিয়েটা করেছিলাম। এরপর শুরু হয় স্ট্রাগল পিরিয়ড। আমি বেকার ছিলাম। প্রতিনিয়ত ইসলামকে জানার চেষ্টা করলাম আর কর্মের চেষ্টা করলাম। করোনার সময় পুরোপুরি সালাফি মতবাদ ভালো লাগা শুরু হল। এবং আমি পুরোপুরি হানাফি থেকে সালাফিতে (আহলে হাদিস) ডাইভার্ট হয়ে গেলাম। কারণ পুরো ইন্টারনেট জুড়ে ফিকহি বিষয়ে তাদের অকাট্য যুক্তি এবং দলীল দিয়ে ভরা ছিল। অন্যদিকে হানাফি মাজহাবের বিষয়ে তেমন কোন কন্টেন্ট ছিলনা। বা থাকলে যুক্তি সম্মত বিশ্লেষণ ছিলনা। যাই হোক, করোনার সময় দ্বীনকে অনেক বেশি ভালবাসতে শুরু করলাম। এবং যার প্রতিদান আল্লাহ আমাকে দিলেন। একটি সন্তান দিলেন এবং আমার রিজিকে এমন বরকত দিলেন যা কল্পনাও করতে পারিনি, আলহামদুলিল্লাহ। 

বিগত এক বছর হল কিছু হানাফি আলেমদের যুক্তিপুর্ন ডিবেট অনলাইনে পাচ্ছি। বিশেষ করে ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসি, আবরার সাহেব সহ আরও অনেকের। যা আমাকে অনেকটাই সন্তুষ্ট করেছে। এবং আবার হানাফি মাজহাব অনুযায়ী আমলের চেষ্টা করি। (মাজহাবি এবং আহলে হাদিসের অনেক আলেমকেই খুবই কট্টর ভাষায় একে অন্যকে নিন্দা করতেও দেখি, যা আমার খুবই বিশ্রী লাগে)। এখন আমি ইসলামের জন্য কিছু করতে চাই। দলমতের উর্ধে নির্বিশেষে সবার জন্য। 

এখন আমার কিছু প্রশ্ন, 

১। আমার শ্বাশুরির তালাক কি তখন কার্যকর হয়েছিল? কারণ তিনি মেয়ে মানুষকে সাক্ষী রেখে তালাক দেন। কারণ আমার জানা মতে মেয়ে মানুষ সাক্ষী হতে পারেনা। এবং তার এখনকার বিয়ে কি হালাল হয়েছে? 

২। আমার স্ত্রীর প্রথম বিয়ে কি বৈধ হয়েছিল? কেননা সম্পর্কে সৎ ভাই ছিল। এবং মেয়ের বাবার অনুমতি ছিলনা এমনকি বিয়ের পরেও না। এবং বিয়ের সময় মেয়ের মা ছিলেন সাক্ষী এবং অভিভাবক হিসেবে।

৩। আমার বিয়ে কি শুদ্ধ/হালাল হয়েছে? হানাফি মাজাহাব ব্যতীত বেশিরভাগ আলেমের মত অনুযায়ী বিয়ে হচ্ছেনা। তাহলে কি আবার বিয়ে করতে হবে? হলেও কিভাবে? কিংবা হানাফি ফিকহ অনুযায়ী শুদ্ধ হলেও আমি যদি আবার কখনও সালাফি মতবাদ অনুসরণ করি, তখন কি আবার বিবাহ করতে হবে? (উল্লেখ্য আমার স্ত্রী প্রথম থেকেই হানাফি ফিকহ অনুসরণ করেন)

দয়া করে উত্তরগুলো দিবেন, খুব পেরেশানিতে আছি। প্রয়োজনে পুনরায় ওয়ালীকে সামনে রেখে ইজাব কবুল করতে প্রস্তুত।


 

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।

আরো জানুনঃ- 

★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 

তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।
 
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)
সারমর্মঃ
প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    

সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।

আরো জানুনঃ 
,
কোনো পুরুষের জন্য অন্যের বিবাহিতা স্ত্রীকে বিবাহ করা জায়েজ নেই,অনুরুপ ভাবে ইদ্দতপালন রত কোনো স্ত্রীকে বিবাহ করা জায়েজ নেই।

বিস্তারিত জানুনঃ- 
https://ifatwa.info/60726/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার শাশুড়ী যে ১ম স্বামীকে তালাক দিয়েছিলো,এটা কোন অধিকারের বলে তালাক দিয়েছিলো?

তার স্বামী কি তাকে তালাকের অধিকার দিয়েছিলো?
বিবাহের কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া না থাকলে বা মৌখিক তালাকের অধিকার না দিয়ে থাকলে স্ত্রী তালাকের অধিকারই পায়না।

আর যদি বিবাহের কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া লেখা থাকে,সেক্ষেত্রে ১৮ নং ধারার বিষয় না জেনে না শুনে তার স্বামী ইজাব কবুলের পরেও সাইন করে থাকলে সেই স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবেনা।

হ্যাঁ যদি তার স্বামী ১৮ নং ধারার বিষয় জেনে শুনেই নিচে সাইন করে,এক্ষেত্রে তিনি আসলেই ইজাব কবুলের আগে সাইন করেছিলেন না কি ইজাব কবুলের পরে?
বিষয়টি স্বামী থেকে জেনে নিতে হবে।
স্বামী মনে করতে না পারলে তিনি উক্ত বিবাহের সাক্ষীদের সহায়তা নিবেন,তারাও মনে করতে না পারলে সেখান আর যারা উপস্থিত ছিলো কাজী সাহেব সহ সকলের সহায়তা নিবে।

তারা যেটি বলবে,সেটির উপরেই নির্ভর করবে যে আপনার শাশুড়ী তালাকের অধিকার পেয়েছিলেন কিনা?

যদি আপনার শাশুড়ী তালাকের অধিকার পেয়ে থাকে,তাহলে দেখতে হবে যে সে কোন বাক্যে প্রথম হাজব্যান্ডকে তালাক দিয়েছিলো?

যদি নিজে তালাক গ্রহন করে,বা নিজেকে নিজে তালাক দেয়,বা নিজের নফসের উপর তালাক গ্রহন করে,তাহলেই কেবল তালাক হবে।
স্বামীকে তালাক দিলে তালাক হবেনা।

★সুতরাং উপরোক্ত বিবরণ অনুপাতে আপনার শাশুড়ী যদি আসলেই তালাকের অধিকার প্রাপ্তা হয়ে থাকে,আর সেই অধিকারের বলে সে নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ২য় বিবাহ করে থাকলে সেই তালাক কার্যকর হয়েছে ও ২য় বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

★আর যদি আপনার শাশুড়ী তালাকের অধিকার প্রাপ্তা না হয়ে থাকে,বা তালাকের অধিকার প্রাপ্তা হয়ে থাকলেও তালাক নামায় নিজেকে তালাক না দিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়, সেক্ষেত্রে তার তালাক কার্যকর হয়নি।

এতোদিন যে ২য় স্বামীর সাথে ঘর সংসার করেছে,এটি যেনার সংসার।

মারাত্মক গুনাহ হওয়ায় খালেস দিলে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে ১ম স্বামীর কাছে ফিরে যেতে হবে।

(০২)
সৎ ভাই গায়রে মাহরাম হওয়ায় এক্ষেত্রে বিবাহের সময় মেয়ে বালেগাহ হয়ে থাকে,দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা দুই জন মেয়ে ও একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার স্ত্রীর ১ম বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।

(০৩)
https://ifatwa.info/82185/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কে কোন মাযহাব মানছে? কে কোন ইমামকে মানছে? এটাকে দেখে ফাতাওয়া দেওয়া হবে না।বরং যিনি ফাতাওয়া দিচ্ছেন, উনি উনার মাযহাবের আলোকেই ফাতাওয়া দিবেন।এটাই ফিকহের মূলনীতি।

যেমন, বৃটিশ হাইকোর্টে উঠে এটা বলা যাবে যে, আমাদের জন্য বাংলাদেশের ল অনুযায়ী রায় দেন, বরং কোর্ট যেহেতু বৃটিশ, তাই তারা তাদের তথা ইউ,কে  এর আইন অনুযায়ী রায় দিবে।

আমরা হানাফি ফিকহের মূলনীতির আলোকে ফাতাওয়া দিয়ে থাকি। সুতরাং অন্য মাযহাবে কি আছে, বা কে কোন মাযহাবকে ফলো করছে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। যে যে মাযহাবকে অনুসরণ করবে, তার একান্ত দায়িত্ব সে ঐ মাযহাবের আলেমের নিকট মাস'আলা জিজ্ঞাসা করবে,ও সেই অনুযায়ী আ'মল করবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পরস্পর পরস্পরের মাযহাব ভিন্ন হলে, স্বামীর মাযহাবের আলোকেই বিষয়টার সমাধান বা নিষ্পত্তি হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যেহেতু বিবাহের সময় হানাফি মাযহাব অনুসারী ছিলেননা।
তাই আপনার বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

অভিবাবকের সম্মতিতে শরীয়তের নিয়মাবলী মেনে পুনরায় বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে। 

অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
edited by
জাযাকাল্লহু খয়রন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...