আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
Assalamualaikum rahmatullahi wa Barkathu

 হুরমত মুসাহারা নিয়ে খুব চিন্তিত রয়েছি , বিশেষ অনুরোধ রইলো আমাকে সাহায্য করবেন।

১. শায়েখ আমি খুব লজ্জিত আসলে আমি মোবাইল এ নানা রকমের খারাপ ছবি, ভিডিও দেখছিলাম এবং লিঙ্গ নাড়ছিলাম আমার লিঙ্গ খাড়া হয়ে ছিল। আমার শাশুড়ি আমাকে আমাকে পায়েস খেতে ডাকে , ভয় এ আমি শাশুড়ির ডাক শুনে আমি মোবাইল টা রেখে দিয়ে বসে আছি । আমার শাশুড়ি রুম এ আসলো এবং আমাকে পায়েস এর বাটি টা দিচ্ছিল, আমি পায়েস এর বাটি না নিতে গিয়ে ১ সেকেন্ড এর জন্য শাশুড়ির আঙ্গুলে স্পর্শ হয়, শাশুড়ির আঙ্গুলে যখন স্পর্শ হয় তখন আমি একটুও উত্তেজিত ছিলাম না বা আমার কোনো কাম ভাব ছিল না। আমি খারাপ ভিডিও দেখেছিলাম সেই জন্য লিঙ্গ খাড়া হয়েছিল , কিন্তু শাশুড়ি র আঙ্গুলে স্পর্শ হওয়ার জন্য আমি কোনো উত্তেজিত হয়নি বা কাম ভাবের সঙ্গে স্পর্শ করিনি। খারাপ ভিডিও দেখার জন্য আগে থেকে লিঙ্গ খাড়া ছিল। শাশুড়ির আঙ্গুলে স্পর্শ করার জন্য আলাদা করে কাম ভাব বা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি । এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে??

২. শাশুড়ি রুম থেকে চলে যাওয়ার পর কিছুক্ষন পর আমি আবার লিঙ্গ তে হাত দিয়ে নাড়ছিলাম , হটাৎ শাশুড়ির শরীর মনে পড়ে জাই , স্পর্শের কথা মনে পড়ে এবং লিঙ্গ খাড়া হয়, আমি লিঙ্গ তে হাত দিয়ে নেড়ে যাচ্ছিলাম , লিঙ্গ খাড়া ছিল, আমি অত কিছু না ভেবে যা হবে হোক তাই ভেবে লিঙ্গ নাড়ছিলাম । কিন্তু বীর্য বের হয় নি । এর জন্য কি হুরমত হবে??

৩. তার পর আরো কিছুক্ষন পর আমার রুম এ আমার স্ত্রী আসলো , এবং আমার স্ত্রী আমার লিঙ্গ স্পর্শ করে , আমার সমস্ত কাম ভাব আমার স্ত্রীর প্রতি ছিল , তাও মাঝে মাঝে শাশুড়ির কথা মাথায় চলে আসছিল, স্পর্শের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল , স্ত্রী লিঙ্গ স্পর্শ করার জন্য বীর্য্যপাত হয়ে জাই। বিষয় হলো বীর্য্যপাত এর সময় শাশুড়ির কথা মনে পড়ছিল, এবং স্পর্শের কথা মনে পড়ছিল এর জন্য কি হুরমত হবে??

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
 
عن عمران بن الحصین في الرجل یقع علی أم امرأتہ، قال: تحرم علیہ امرأتہ۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۶ دار الکتب العلمیۃ بیروت)

সারমর্মঃ 
একজন ব্যাক্তি তার স্ত্রীর মায়ের সাথে সহবাস করে,হযরত ইমরান বিন হুসাইন রাঃ তার ব্যাপারে ফতোয়া দিলেন যে তার স্ত্রী তার উপর হারাম।
 
ই'লাউস সুনান গ্রন্থে এসেছে 
 
أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)
 
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে। 

وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى
وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .
قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109
وكذا المقبلات، أو الممسوسات بشهوة لأصوله، أو فروعه (رد المحتار-4/100)
لأن حرمة المصاهرة إذا ثبتت لا تسقط أبدا (رد المحتار-4/109)
সারমর্মঃ
স্পর্শ বা দৃষ্টিপাতের কারনে বীর্যপাত হয়ে গেলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।
কেননা বীর্যপাতের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই স্পর্শ/দৃষ্টিপাত সহবাসের দিকে তাকে নিয়ে যাবেনা।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
স্পর্শ করার পর বীর্যপাত হয়ে গেলে হুরমত প্রমাণিত হবে না।

★প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই হুরমতে মুসাহারাত প্রমানিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
২ নম্বর প্রশ্ন তে বীর্য্যপাত হয়নি। ঘটনাটা একবার পড়ুন। শায়েখ হুরমত হবে কি ?
by (559,530 points)
তবুও হুরমত সাব্যস্ত হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 248 views
...