আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
626 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হুজুর,

আমি একজন অনার্সে পড়ুয়া ছাত্র। বেশ কিছুদিন যাবৎ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম মাদ্রাসায় চলে যাব নাকি জেনারেল লাইনেই পড়া চালিয়ে যাব। এরপর কিছুদিন আগে আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। তবে সেদিন রাতে আমি ইস্তেখারা করে শুয়েছিলাম। ইস্তেখারার মূল বিষয় ছিলঃ ঢাকায় অবস্থানরত এক ভাই আমাকে তার বাসায় থেকে তার সাথে একটা ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়ায় সেটা আমি গ্রহণ করব কিনা এই বিষয়ে ইস্তেখারা করেছিলাম আর ব্যবসাটি ছিল কোচিং সেন্টার চালানো বিষয়ে। উল্লেখ্য যে, এরপর আমার আরেকটি ইস্তেখারা করার নিয়ত ছিল যে, আমি মাদ্রাসায় পড়তে চলে যাওয়া সিন্ধান্ত ঠিক হবে কিনা, আমার জন্য এই সময়ে  কল্যাণকর হবে কিনা এই বিষয়ে।
তো সেদিন রাতে ইস্তেখারা করে শোয়ার পরে রাতে স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি কতজনকে পড়াচ্ছি। স্বপ্নে মনে হয়েছে তারা মেঝেতে বসা, চেয়ারে নয়। আর মনে হয়েছে সবাই ই সাদা পোষাক পরিহিত ছিল।

এরপর ফজরের জন্য জেগে স্বপ্নের কথা ভেবে মনে স্বাভাবিক শান্তি বজায় ছিল। আর ভাবছিলাম এরকম পড়ানোর স্বপ্ন দেখা মনে হয় আমার ইস্তেখারার বিষয়টি গ্রহণের দিকেই ইঙ্গিত করছে, আবার ভাবছিলাম মাদ্রাসার ছাত্রদের পড়াচ্ছি এটা হয় কিনা আবার আল্লাহ ই ভাল জানে, কেননা এরপর তো আমি নিজে মাদ্রাসায় পড়তে চলে যাওয়ার বিষয়ে ইস্তেখারা করব ভেবেছিলাম।
ইস্তেখারা করার রাতে এরকম স্বপ্ন দেখার মানে কি বুঝতেছি না।

জানালে ভাল হয়।

জাজাকাল্লাহু খইরন
by (28 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
উস্তাদ,

আশা করি ভাল আছেন। আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা সিদ্ধান্ত বিষয়ে সূক্ষাতিসূক্ষ বিশ্লেষণপূর্বক পরামর্শ চাচ্ছি।

উস্তাদ,আমি জেনারেল লাইনে পড়ুয়া একজন ছাত্র। দ্বীনের পথে আসার ফিকিরটা নবম শ্রেণির প্রথম দিকে সূচনা হয়। দুনিয়া  ও আখিরাতের কথা ভেবে দেখেছিলাম যে, আখিরাতই আসল। তখন সাথে সাথেই মাদ্রাসায় পড়ুয়া ভাইদের পাঞ্জাবীর মত  একটা পাঞ্জাবী বানিয়েছিলাম পড়ে নামাজ পড়ার জন্য যে, আমার  ও তো আল্লাহর সামনে হাজির হওয়া লাগবে তাদের মত,তাহলে আমার  ও সেভাবেই চলা উচিত। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে কয়েক বছর গেল এবং কলেজে পড়ার শেষের দিকে এসে পুরোপুরি সুন্নাতী পোষাক পড়ার সিদ্ধান্ত নেই। আলহামদুলিল্লাহ সেই এখন পর্যন্ত সুন্নাতের উপরই চলার চেষ্টা করি কিন্তু ততটা আমলদার হতে পারিনি। তবে যতটুকু আল্লাহ তায়ালা এই গুনাহগার বান্দাকে রেখেছেন ও দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। দোয়া চাই যেন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ। এখন প্রায়ই আকাঙ্ক্ষা জাগে যে, আমি যদি নিজেকে শুধু দ্বীনী লাইনে খেদমতে রাখতে পারতাম!!!, শুধু আকাক্ষা নয়, আমার ইচ্ছা সারাজীবন শুধু দ্বীনের খেদমত করে যাওয়ার আর কিছু চাই না আখিরাত ছাড়া। কিন্তু হায় মাদ্রাসায় না পড়ে দ্বীনকে পরিপূর্ণ না জেনে, না পারছি নিজে আমলে আগে বাড়তে আর না হচ্ছে এখনকার এই আশা পূরণ।  কী আর করা, ছোটবেলায় যদি মা বাবা মাদ্রাসায় দিতেন তাহলে হয়ত আজ এই অবস্থা হত না। আল্লাহর কাছেও আমার মনের গভীরের ফারিয়াদ এটা। কারণ আমি পুরোপুরি সাহাবায়ে কেরামের মত দ্বীন মানতে চাই, যদিও সাহাবায়ে কেরামের মত ঈমানওয়ালা হওয়া যাবে না।

কিন্তু বলার বিষয় এটা যে, আমার দ্বীনের পথে চলার সুন্নাতী লেবাস  ও  দ্বীনের পথের দূর্বলতা দেখে কিছুদিন আগে আমার বড় ভাই আম্মু কে বলতেছে যে, ও এখন মাওলানা পড়তে চায় কিনা জিজ্ঞেস করেন। ভাই সম্পূর্ণ নিজে থেকে বলেছে হয়ত। কারণ আমি তো কখনও এই আশা পরিবারের কারও কাছে প্রকাশ করিনি, শুধু আম্মু মাঝে মাঝে আমাকে যখন বলে যে, এখন এত দ্বীনের প্রতি আগ্রহ তাহলে স্কুল লাইফে থাকতে মাদ্রাসায় ই চলে যেতে পারতে। তখন আমি বলি আম্মু, তখন কি আর অতটা দ্বীনের ক্বদর বুঝি আর বুঝলেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানসিক যোগ্যতা তখন থাকে না কিংবা মনে ও আসে নি  আমার স্বাভাবিকভাবে। তাই পারিনি। 


আমি আমার দ্বীনের পথে মাদ্রাসায় পড়ার এখনকার আশা না বলার আসল কারণ ছিল আমি এখন অনার্স ১ম বর্ষে পড়াশোনা করছি, বয়স ২২ বছর। আমার আরো দুই ভাই আছে যারা আমার বড়, একজন বিবাহিত।
সাথে তিন বোন আছে, যাদের দুইজন এখন অবিবাহিত।আর পরিবারে উপার্জন করে ঐ দুজন ভাই,  পরিবারের ভরণপোষণ  ও আমার এবং আমার ছোট বোনের পড়াশোনার খরচ  ও তারা বহন করে,কারণ বাবা প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বছর আগে থেকেই অবসর। মেজো ভাইয়ের ও বিবাহ আসন্ন যেকোনো বছর হয়ে যেতে পারে ইনশা আল্লাহ।তাছাড়া মা বাবা দেখি বার বার আমার উপার্জন দেখে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করে আর বলেও অনেক অনেক অনেক আমাকে ইদানিং। তাছাড়া আমরা আর্থিকভাবে তেমন একটা স্বচ্ছল ও না, তবুও আলহাদুলিল্লাহ যেভাবে আল্লাহ রেখেছেন। 

★মুল কথা আমার পারিবারিক অবস্থা এবং দায়িত্ববোধের বোঝা তারাতারি ই হাতে কিছুটা হলেও নেওয়া লাগবে ভবিষ্যতে যতটুকু আমার মনে হচ্ছে। এদিকে আমার জেনারেল পড়াশোনা শেষ করতেও আরো কমপক্ষে ৫ বছর লাগবে। 

এমতাবস্তায় আমি মাদ্রাসায় চলে  যাওয়ার সাহস বুকে পাচ্ছি না, অথচ মাদ্রাসায় যেতে না পারার প্রবল কষ্ট আমার আল্লাহ ছাড়া পরিবারের কেউ জানেও না। অন্তত আমার পরিবার যদি পুরোপুরি স্বচ্ছল থাকতো তাহলে কোনো কিছু না ভেবেই চলে যেতাম ইনশা আল্লাহ। কারণ আমার মনটা এখন শুধু দ্বীনি ইলম শিক্ষা করে নিজেকে সর্বদা দ্বীনের খেদমতে গুনাহমুক্ত পরিবেশে থাকতে চায়। শুধু আল্লাহর জন্য কাজ করতে চাই, শুধু আখিরাত চাই, দুনিয়ার জরুরত ছাড়া আর কিছু আমি চাই না। 

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বড় ভাই এর  বলা " মাওলানা পড়তে চাও কিনা " এর জবাবে আমি কি বলব নিজেই বুঝতেছি না ,,  যাব বলব নাকি যাওয়ার সুযোগ নেই সেটা ও বলতে পারছি না। কারণ আমার মনের কথা, আশা, চিন্তা কিছু তারা জানে না যা কিছু বললাম এখন। তবে সাথে জিজ্ঞেস করেছে " কত সময় লাগবে মাওলানা পড়তে  "  আমি ধারণা স্বরুপ বলেছিলাম, কমপক্ষে ৬ বছর ( মাদানী নেসাবে)। এক ভাইয়ের থেকে শুনেছিলাম তাই এটা ই বলে দিয়েছি সময়ের ধারণা দেয়ার জন্য।

পরে আমি চুপ ছিলাম আর তারাও বেশি একটা কিছু বলিনি। তারা এটা শুনে নীরব থাকাটা ও আমার কাছে ইস্যু।

 আমার বয়স ২২ বছর এবং আমি জেনারেল লাইনে অনার্স ১ম বর্ষে পড়ি। দ্বীনের পথে চলতে গিয়ে এখন আমার নিয়ত নিজেও ইলম ও হিকমাহ আল্লাহর কাছে চাওয়া, আর সাথে ভবিষ্যতে  নিজের পুরো পারিবারিক বংশধারাকে শুধুমাত্র দ্বীনের খেদমতের জন্য "নববী জ্ঞানের সোনালী রাজপথে" চালানো,যে পথ চলায় থাকবে শুধু আমার আল্লাহ আর প্রিয় রাসূলে কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খাঁটি ভালবাসা।

আর এ জন্য এখন আমি কিভাবে তা করা যায় তা নিয়ে ভাবছি, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ভাবছি এই অবস্থায় আমি নিজে ই এখন মাদ্রাসায় গিয়ে শুরু করা উচিত নাকি নিজে জেনারেল লাইনে থেকেই চেষ্টা করে যাবো। 

★১) মাঝে মাঝে মনে হয় আমার 

পরিবার তেমন স্বচ্ছল না। আর এই অবস্থায় আমি যদি মাদ্রাসায় এখন না গিয়ে জেনারেল লাইনে পড়েই পর্যাপ্ত অর্থের যোগান দেই, যাতে আল্লাহ চাহেতু  নিজের সন্তানাদি এবং নিজের ভাতিজা-ভাতিজি, ভাগনে-ভাগ্নী, ভাই-বোন এদের কেউ ই কোনাভাবে অর্থাভাবে ভাল মাদ্রাসায় পড়া বন্ধ হয়ে না যায় ইনশা আল্লাহ। কারণ পরিচিত দুর সম্পর্কের কারও কাছে শুনেছি, তিনি অর্থের কারণে ছেলে মেয়েদের সবাইকে  মাদ্রাসায় ই পড়াতে পারছে না কারণ জরুরতের  খরচ তো লাগবেই। তার ওপর অনেক বড় আলেম আলেমা বানাতে গেলে তো আরো বেশি ই খরচ লাগবে স্বাভাবিক।

তাই আমার মনে এসব উকি দিয়েছে এখন।

★২) আর যদি উসিলা ছাড়া শুধু 

আল্লাহর কাছে এই স্বপ্ন রেখে আমি নিজেও এখন মাদ্রাসায় চলে যাই, তাহলে অর্থ যোগানের তেমন কেউ থাকবে না যদিও আমার দুই ভাই বিবিধ কাজ করে। এক্ষেত্রে  তাহলে আমি আমার কাক্ষিত লক্ষ্যে পৌছার সম্ভাবনা বেশি নাকি নিজে জেনারেল লাইনে থেকেই চেষ্টা করে লক্ষ্যে পৌছানোর সম্ভাবনা বেশি, কোনটা ??? নাকি এই দুইদিক চিন্তার কোনোটা ওয়াসওয়াসা হিসেবে আমাকে লক্ষ্যের দিকে যেতে বাধা দিচ্ছে? 

★★★এই বিষয়টা ই আগে পরিস্কার হওয়া জরুরি যে, দুই দিকের কোনটি আমি বেছে নিবো এখন??? 



★ যদি ২য় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিজেই আগে মাদ্রাসায় চলে যাওয়ার কথা হয়,তাহলে 

এখন আমার কী করা উচিত, কিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত,  আমি কি অন্তত মাদানী নেসাবে পড়ার কথা চিন্তা করে মাদ্রাসায় চলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারি  কিনা, গেলেও এই বয়সে আমাকে ভর্তি নিবে কিনা ??? 

 ★★★আর এক্ষত্রে মা বাবার অনুমতি না থাকলেও যেতে পারব কিনা, 


পরামর্শ করা আমার রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত। কাজেই আমার জীবিনের গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তে উক্ত বিষয়টি যথাযথ বিবেচনাপূর্বক একটা পরামর্শ দিলে ভাল হয়। 


NOTE:  যদিও এই সবকিছু আমি আগেই টাইপ করে রেখেছিলাম জিজ্ঞেস করার জন্য আপনাকে, কিন্তু ব্যবসায় জড়িত হওয়াটা ঠিক হবে কিনা শুধু সেটার জন্যই কিন্তু এই ইস্তেখারাটা করেছিলাম।  বাকিসব বলা হয়েছে।

জাজাকাল্লাহু খইরন।
















1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উল্লেখিত স্বপ্নে আপনার দ্বীনি  ইলম অন্বষনের আগ্রহের প্রভাব ফুটে উঠেছে। 
এটি অনেক ভালো স্বপ্ন।
আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।
রাসুল সাঃ ভালো স্বপ্ন দেখে শুকরিয়া আদায় করার কথা বলেছেন।
,
আপনি আপনার ইস্তেখারার ফল পেয়েছেন,আলহামদুলিল্লাহ। 
আপনি এখন নিশ্চিন্তে দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য মাদ্রাসায় যেতে পারেন।
তবে জেনারেল লাইনের লেখা পড়াও চালিয়ে যেতে পারেন,এই পদ্ধতিতে যে শুধু পরীক্ষার সময় পরিক্ষা দিবেন। 
কোনো সমস্যা নেই। 
,
বা জেনারেল পড়ুয়া ছাত্রদের আলেম বানানোর জন্য যেসব শর্ট কোর্স জাতীয় মাদ্রাসা আছে,সেখানেও ভর্তি হতে পারেন।
তাতে উভয় লাইনেই লেখা পড়া চালিয়ে যাওয়া  সম্ভব হবে।
ইনশাআল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...