আল্লাহ তায়ালা বলেন-
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]
অনুবাদ-রমযান মাসই হল সে মাস,যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা বাকারা-১৮৫}
মাসআলা :
দুগ্ধদানকারিনী মা রোযা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ঐ সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়, ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা হয়, তাহলে তিনি রোযা ভাঙ্গতে পারবেন এবং পরে কাযা করে নিবেন। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, অর্থ : আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য রোযার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামায কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্যও রোযার হুকুম শিথিল করেছেন।-জামে তিরমিযী ১/১৫২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২
فى الفتاوى التاتارخانية- اذا خافت الحامل أو المرضع على أنفسهما أو على ولدهما جاز له الفطر، وعليهما القضاء، (الفتاوى التاتارخانية – كتاب الصوم، فصل الأسباب المبيحة للفطر-3/404
মর্মার্থ: দুগ্ধপানকারিণী মা তার সন্তানের কোনো ক্ষতির আশংকা করলে তার জন্য রোজা ভাঙ্গা জায়েজ আছে। তবে পরবর্তীতে তা কাযা করে দিবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি রমজানে রোযা না রাখতে পারেন। এই অনুমতি আপনার জন্য রয়েছে। তবে পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে।
(০২)
হ্যাঁ, তখন রোযা ভেঙ্গে দিতে পারবেন।
তবে পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে।
(০৩)
আপনার দুধ বেশি (বাচ্চার জন্য প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত) হলে এক্ষেত্রে অপচয়ের গুনাহ হবেনা।
(০৪)
বমি মুখ ভরে না হলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে যদি মুখ ভরে বমি হয় সেক্ষেত্রে সেই জায়গা হাতে পানি নিয়ে একবার মুছে নিলেই পাক হবেনা।
উক্ত স্থান তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে।