আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in সাওম (Fasting) by (100 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
১. আমার ২ মাস+ বয়সের সন্তান আছে শুধু  ব্রেস্টফিড করে! আমি বেশি খেলে দুধ ঠিক মতো পায় আর কম খেলে দুধ ঠিক মতো পায় না! প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বাবুকে খাওয়াতে হয় যদি সজাগ থাকে, ক্ষুধা লাগে ওর!  বাবুর পেট না ভরলে কান্না করে!  এই অবস্থায় রমাদ্বনে রোজা রাখার বিধান কি আমার জন্য?
২. আমি যদি দেখতে চাই রমাদ্বনে রোজা রেখে যে রোজা রাখলে বাবু দুধ পায় কিনা ঠিক মতো আর যদি দুধ কম পায়, ঠিক মতো না পায় তখন কি রোজা ভাংতে পারবো?
৩. ডাক্তার বলেছে বাবুকে খাওয়ানোর আগে দুধ চেপে তিনবার ফেলে নিতে, এতে নাকি বাচ্চাদের বেশি পায়খানা করার সমস্যা দূর হয়, কম পায়খানা করে! আমার বাবু অনেক বার পায়খানা করে! এরকম করে প্রতিবার খাওয়ানোর আগে দুধ ফেললে কি অপচয় হবে এটা? গুনাহ হবে?

৪. বাচ্চার বমি কি  নাপাক? বাবুর বমি শরীরে লাগলে সেই জায়গা হাতে পানি নিয়ে একবার মুছে নিলেই পাক হবে?

জাযাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আল্লাহ তায়ালা বলেন-

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]

অনুবাদ-রমযান মাসই হল সে মাস,যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। {সূরা বাকারা-১৮৫}

 

মাসআলা :

দুগ্ধদানকারিনী মা রোযা রাখলে যদি সন্তান দুধ না পায় আর ঐ সন্তান অন্য কোনো খাবারেও অভ্যস্ত না হয়, ফলে দুধ না পাওয়ার কারণে সন্তানের মৃত্যুর বা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা হয়, তাহলে তিনি রোযা ভাঙ্গতে পারবেন এবং পরে কাযা করে নিবেন। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, অর্থ : আল্লাহ তাআলা মুসাফিরের জন্য রোযার হুকুম শিথিল করেছেন এবং আংশিক নামায কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্যও রোযার হুকুম শিথিল করেছেন।-জামে তিরমিযী ১/১৫২; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২২ 

فى الفتاوى التاتارخانية- اذا خافت الحامل أو المرضع على أنفسهما أو على ولدهما جاز له الفطر، وعليهما القضاء، (الفتاوى التاتارخانية – كتاب الصوم، فصل الأسباب المبيحة للفطر-3/404

মর্মার্থ: দুগ্ধপানকারিণী মা তার সন্তানের কোনো ক্ষতির আশংকা করলে তার জন্য রোজা ভাঙ্গা জায়েজ আছে। তবে পরবর্তীতে তা কাযা করে দিবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি রমজানে রোযা না রাখতে পারেন। এই অনুমতি আপনার জন্য রয়েছে। তবে পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
হ্যাঁ, তখন রোযা ভেঙ্গে দিতে পারবেন।
তবে পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিতে হবে।

(০৩)
আপনার দুধ বেশি (বাচ্চার জন্য প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত)  হলে এক্ষেত্রে অপচয়ের গুনাহ হবেনা।

(০৪)
বমি মুখ ভরে না হলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে যদি মুখ ভরে বমি হয় সেক্ষেত্রে সেই জায়গা হাতে পানি নিয়ে একবার মুছে নিলেই পাক হবেনা।
উক্ত স্থান তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নিতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 313 views
...