আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in সালাত(Prayer) by (38 points)
edited by

১/আমি বিতর স্বলাতে ৩য় রাকাতে দুয়ায়ে কুনুত না বলেই রুকুতে যাওয়ার জন্য হাত নিচে দিয়ে সামান্য ঝুঁকি আর সাথে সাথে মনে পড়ে কুনুত বাকি ছিলো তখন হাত উঠিয়ে কুনুত পড়ি তারপর যথারীতি স্বলাত পড়ি এই স্বলাত কি হয়েছে?হাত হাটু পর্যন্ত যায়নি হাটুর কাছকাছি গিয়েছে এই পরিমাণ ঝুকেছি।কমই ঝুকেছি।

২/আমি একজায়গায় পড়েছিলাম যে শরীর ও মাথা সামান্য ঝুকানোই রুকুর ফরয।আমার কি রুকু আদায় হয়ে গিয়েছিলো?যেহেতু সামান্য ঝুঁকেছি

 

৩/ আর আমি যেই কাজ করেছে এটার কারণে যদি স্বলাত না হয়ে থাকে স্বলাতের শেষ বেঠকে সাহু  সেজদা দিলে কি স্বলাতটা হয়ে যেতো?

৪/ একজন মেয়ে তিনি সব স্বলাত এ জোড়ে কিরাত পড়েন আসর ও যোহরও উনার স্বলাত কি হচ্ছে? আসর ও যোহেরে জোড়ে যেই স্বলাত পড়েন তা কি আদায় হচ্ছে নাকি ফাসিদ হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১.২.৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عن الحسن قال: من نسى القنوت فى الوتر، سجد سجدتى السهو (السنن الكبرى للبيهقى، كتاب الصلاة، باب من نسى القنوت سجد للسهو، دار الفكر-3/309، رقم-3983، دار الحديث القاهرة-2/699 رقم-3876)
সারমর্মঃ
হাসান রহঃ বলেন, যে ব্যাক্তি বিতির নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়তে ভুলে যায়,সে সেজদায়ে সাহুর দুই সেজদাহ আদায় করবে।

لو تذكر القنوت فى الركوع فإنه لا يعيد ……… يسجد للسهو الخ (البحر الرائق، كتاب الصلاة، سجود السهو-2/166)
সারমর্মঃ
যদি রুকুতে দোয়ায়ে কুনুত এর কথা স্বরন আসে,তাহলে সে ফিরে যাবেনা,সেজদায়ে সাহু আদায় করবে।  

لو تذكر القنوت في الركوع فإنه لا يعود ولا يقنت فيه لفوات محله ولو عاد وقنت لم يرتفض ركوعه لأن القنوت لا يقع فرضا فلا يرتفض به الفرض ويسجد للسهو على كل حال ليترك الواجب أو تأخيره (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الصلاة، باب سجود السهو-461)
সারমর্মঃ
যদি রুকুতে দোয়ায়ে কুনুত এর কথা স্বরন আসে,তাহলে সে ফিরে যাবেনা,রুকুতে দোয়ায়ে কুনুত পড়বেনা, সর্ব ছুরতে শেষে  সেজদায়ে সাহু আদায় করবে।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যেহেতু রুকুর তাকবির বলে মাথা ঝুকিয়েছিলেন,হাত হাটুর নিকটতম হয়েছিলো।
সুতরাং এমতাবস্থায় আপনার আর ফিরে আসা উচিত হয়নি।

শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করতে হতো।

আপনি যেহেতু সেজদায়ে সাহু আদায় করেননি,তাই এখন উক্ত বিতর নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে যদিও তার নামাজের ফরজিয়াত আদায় হয়ে যাচ্ছে (কাজা আদায় ফরজ নয়) তদুপরি যে নামাজে সে এভাবে তিলাওয়াত করবে,সেই নামাজে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

উল্লেখ্য, মহিলারা প্রত্যেক নামাজেই আস্তে আওয়াজে কিরাআত পাঠ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...