ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، كَانَ يُتَّهَمُ بِأُمِّ وَلَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِعَلِيٍّ " اذْهَبْ فَاضْرِبْ عُنُقَهُ " . فَأَتَاهُ عَلِيٌّ فَإِذَا هُوَ فِي رَكِيٍّ يَتَبَرَّدُ فِيهَا فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ اخْرُجْ . فَنَاوَلَهُ يَدَهُ فَأَخْرَجَهُ فَإِذَا هُوَ مَجْبُوبٌ لَيْسَ لَهُ ذَكَرٌ فَكَفَّ عَلِيٌّ عَنْهُ ثُمَّ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَمَجْبُوبٌ مَا لَهُ ذَكَرٌ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মে ওয়ালাদের সাথে এক ব্যক্তির প্রতি অভিযোগ (অপবাদ) উত্থাপিত হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী (রাঃ) কে বললেন, যাও। তার গর্দান উড়িয়ে দাও। আলী (রাঃ) তার নিকট গিয়ে দেখলেন, সে কুপের মধ্যে শরীর শীতল করছে। আলী (রাঃ) তাকে বললেন, বেরিয়ে আস। সে আলী (রাঃ)এর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। তিনি তাকে বের করলেন এবং দেখলেন, তার পূরুষাঙ্গ কর্তিত, তার লিঙ্গ নেই। তখন আলী (রাঃ) তাকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকলেন। তারপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তো লিঙ্গ কর্তিত তার তো লিঙ্গ নেই।(সহীহ মুসলিম- ৬৭৬৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বিবাহিতরা জিনা করলে পাথর মেরে হত্যা করাই শরয়ী দন্ডবিধি। কিন্তু উক্ত হাদীসে শরয়ী দন্ডবিধির আলোচনা করা হচ্ছে না, বরং এখানে তা'যির তথা রাজনৈতিক ও রাষ্টপ্রধান কর্তৃক বিশেষ শাস্তির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। এবং সেটা হল, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সন্তানের মায়ের ঘরের হুরমত ও মান সম্মান বিনষ্ট করার শাস্তি।
" فهذا الرجل أمر النبي صلى الله عليه وسلم بضرب عنقه ، لما قد استحل من حرمته، ولم يأمر بإقامة حد الزنا؛ لأن حد الزنا ليس هو ضرب الرقبة، بل إن كان محصنا رجم، وإن كان غير محصن جلد، ولا يقام عليه الحد إلا بأربعة شهداء أو بالإقرار المعتبر، فلما أمر النبي صلى الله عليه وسلم بضرب عنقه، من غير تفصيل بين أن يكون محصنا أو غير محصن؛ علم أن قتله لما انتهكه من حرمته " انتهى من "الصارم المسلول لابن تيمية " (2 / 122).
" وأحسن من هذا أن يقال: إن النبي صلى الله عليه وسلم أمر عليا رضي الله عنه بقتله تعزيرا ، لإقدامه وجرأته على خلوته بأم ولده، فلما تبين لعلي حقيقة الحال، وأنه بريء من الريبة، كف عن قتله، واستغنى عن القتل بتبيين الحال، والتعزير بالقتل ليس بلازم كالحد ، بل هو تابع للمصلحة دائر معها وجودا وعدما " انتهى من "زاد المعاد لابن القيم" (5 / 15).
(২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর নিকট সংবাদ পৌছেছিল, যেজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' আলি রাযি কে বলেছিলেন, তুমি যদি তাকে মারিয়া কিবতিয়ার নিকট এই এই অবস্থায় পাও তাহলে তাকে হত্যা করিও, যেমন অন্য বর্ণনায় এসেছে। পরবর্তীতে যেহেতু আলী তাকে সেই অবস্থায় পাননি, তাই তাকে হত্যা করেননি।