ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসও উলামায়ে কেরামদের সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে আমরা নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।
সত্য বলে নিজ মাকসাদকে অর্জন করা ও ক্ষতি থেকে বাচা যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মিথ্যা বলার কোনো অবকাশ শরীয়তে নেই বরং মিথ্যা বলা হারাম ও জগন্যতম গর্হিত কাজ।
কিন্তু চুরান্ত পর্যায়ের অপারগ হয়ে গেলে মিথ্যা বলা জায়েয।এমনকি সময়বেধে ওয়াজিবও হয়ে যায়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/644
الدر المختار: (427/6، ط: سعید)
الْكَذِبُ مُبَاحٌ لِإِحْيَاءِ حَقِّهِ وَدَفْعِ الظُّلْمِ عَنْ نَفْسِهِ وَالْمُرَادُ التَّعْرِيضُ لِأَنَّ عَيْنَ الْكَذِبِ حَرَامٌ قَالَ: وَهُوَ الْحَقُّ قَالَ تَعَالَى - {قُتِلَ الْخَرَّاصُونَ} [الذاريات: ١٠]- الْكُلُّ مِنْ الْمُجْتَبَى وَفِي الْوَهْبَانِيَّةِ قَالَ:وَلِلصُّلْحِ جَازَ الْكِذْبُ أَوْ دَفْعُ ظَالِمٍ ... وَأَهْلِ التَّرَضِّي وَالْقِتَالِ لِيَظْفَرُوا۔
مجمع الانھر: (کتاب الکراھیة، 552/2، ط: دار احیاء التراث العربی)
وَالْكَذِبُ حَرَامٌ إلَّا فِي الْحَرْبِ لِلْخُدْعَةِ وَفِي الصُّلْحِ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَفِي إرْضَاءِ الْأَهْلِ وَفِي دَفْعِ الظَّالِمِ عَنْ الظُّلْم
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মিথ্যা না বলার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করবেন। পরিবারকে রোযা লাভক্ষতি ও জান্নাত জাহান্নাম সম্পর্কে বুঝাবেন। অথবা তাওরিয়াহ করবেন,অর্থাৎ আপনি এমনভাবে কথা বলবেন যে, আপনি উদ্দেশ্য নিয়েছেন একটাকে আর তারা বুঝবে অন্যটাকে। সুতরাং এভাবেই বিষয়টাকে সমাধান করার চেষ্টা করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।