বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/52112/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
،
عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنْ
أَحَبِّكُمْ إِلَىَّ وَأَقْرَبِكُمْ مِنِّي مَجْلِسًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ
أَحَاسِنَكُمْ أَخْلاَقًا
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় ও কিয়ামাতের
দিন আমার সবচেয়ে কাছে আসন হবে তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী"
(তিরমিজি ২০১৮)
عَنْ
مَسْرُوقٍ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو يُحَدِّثُنَا
إِذْ قَالَ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاحِشًا وَلاَ
مُتَفَحِّشًا، وَإِنَّهُ كَانَ يَقُولُ " إِنَّ خِيَارَكُمْ أَحَاسِنُكُمْ
أَخْلاَقًا ".
মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমরা ‘আবদুল্লাহ
ইবনু ‘আমর (রাঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলেন। তিনি
বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বভাবগতভাবে অশালীন ছিলেন না এবং
তিনি ইচ্ছা করে কাউকে অশালীন কথা বলতেন না। তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে যার স্বভাব-চরিত্র
উত্তম, সেই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। [বুখারী ৬০৩৫.৩৫৫৯] (আধুনিক প্রকাশনী-
৫৬০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৯৬)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে (স্বাভাবিক ভাবে কথা বললে) আশা করা যায় কোনো গোনাহ হবে ইনশাআল্লাহ। তবে উক্ত
কথা অহংকারের সাথে বললে তখন গোনাহ হতে পারে।
উল্লেখ্য
যে, সর্বদা মানুষের সাথে নম্রতা ও আদবের সাথে কথা বলতে হবে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত কথাটি
বলার ক্ষেত্রেও নম্রতা ও আদবের দিকে খেয়াল করে বলতে হবে।