বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
□ হায়েজ অবস্থায় যেসব আমল করা যাবে ও যেসব আমল
করা যাবে না:
হায়েজ অবস্থায় নামায, রোজা, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে গমণ,
তালাক প্রদান ও সহবাস করা ছাড়া অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যাবে। যথা. জিকির-আযকার করা,
দরুদ শরীফ পড়া, বিভিন্ন দোয়া পড়া, ঘরের কাজ করা, পানাহার করা সহ ইত্যকার কোনো কাজই নিষেধ
নয়। একাধিক হাদীসে এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন, আবু হুরায়রা
রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁর সঙ্গে
মদিনার কোন এক পথে রাসূল ﷺ-এর দেখা হল। আবু
হুরায়রা রাযি. তখন জানাবাতের অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে নাপাক মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবু হুরায়রা রাযি. গোসল
করে আসলেন। পুনরায় সাক্ষাৎ হলে রাসূল ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, আবু
হুরায়রা! কোথায় ছিলে? আবু হুরায়রা রাযি. বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। নবীজী ﷺ বললেন, سبحان الله، إن المسلم لا
ينجس
সুবহানাল্লাহ্! মু’মিন নাপাক হয় না। সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৭৯
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, হায়েজ অবস্থায় দরুদ পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।