ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/121
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-১৭৯২)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اسْتَفَادَ مَالًا فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ، حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ»
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- বৎসরের মধ্যখানে অর্জিত সম্পদে যাকাত আসবেনা যতক্ষণ না মালিকের পূর্ণ সম্পত্তির একবৎসর পূর্ণ হবে।(জামে তিরমিযি-৬৩১)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/638
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)বর্তমানে সর্বনিম্ন ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ টাকার মালিক হলে যাকাত ফরয হয়ে যাবে।
(২)
গত বছরের মার্চ মাসে আপনার নিকট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিল। এই বছর আছে ৫ লাখ। বৎসর শেষে আপনার নিকট যত টাকা থাকবে, সেই সব টাকার যাকাত আপনার ওয়াজিব হবে। যেই ১ লাখ টাকা ধার বাবদ অন্যর কাছে ছিলো,সেই টাকাগুলো যখন উসূল হবে, তখন অতিতের বৎসর সমূহরের যাকাত ফরয হবে। আর ২ লাখ ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে সেই টাকারও যাকাত দিতে হবে। প্রত্যেকটি টাকা পৃথক পৃথক বৎসর পূর্ণ হওয়া জরুরী নয়।