আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
199 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম, পরিচিত আত্মীয় মানত করেন এবং  মাজারে মানত করে ছাগল, মোরগ এসব দেন।তাহের দাওয়াহ দিতে গেলে কিভাবে সুন্দর করে বুঝাতে পারি বা বলতে পারি?


তাছাড়া শীতকালে বিভিন্ন  মাজারে ওরস হয়।শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই আবেগ নিয়ে এসবে অংশ নেয়।মাজার নামক বাবার কাছে এসে কান্নাকাটি করে,মোমবাতি জ্বালায়।ওদিক বাউলগান হয়।মেলা হয়।আমাদের গ্রামে প্রতি বছর হয়।উনাদের কিভাবে দাওয়াহ দিতে পারি?ওনারা কিছু বুঝতে চায় না,শুনতেও চায় না।অদ্ভুত সব ব্যাখ্যা দেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহর নামে মান্নত জায়েয।আর পীর বা কোনো মানুষের নামে মান্নত সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয ও হারাম।

মাজারে পীরদের ব্যাপারে শিরকি আকিদা নিয়ে তাদের নামে যে সকল পশু মানত করা হয়, তা খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম; যদিও তা আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করা হয়ে থাকে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাদের প্রথমে বিদ'আত ও শিরিক এবং তাওহিদ কার নাম,সেটা নিয়ে বুঝাবেন।তাদের সাথে তাওহিদ সম্পর্কে আলোচনা করবেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আগমন ও দাওয়াতি কাজ এবং সাহাবাদের দাওয়াতি কাজের অংশ বিশেষ সময়ে সময়ে তাদের সামনে তুলে ধরবেন।

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আবির্ভাবের পূর্বে মানুষরা কিভাবে শিরিকে লিপ্ত ছিলো,রাসূলুল্লাহ সাঃ কিভাবে শিরিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন,সবিস্তারে তাদের সামনে ফুটিয়ে তুলবেন।


বিশেষকরে বিদ'আত কি?  ও তার শাস্তি কি হতে পারে?
এগুলো তাদের সামনে ফুটিয়ে তুলবেন।

বিদ'আত কাকে বলে?
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,দ্বীনে ইসলামে পূর্বে ছিলনা,এমন কোনো জিনিষকে পরবর্তীতে ঢোকানো হলে,সেটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। এবং কেউ যদি এমন কোনো কাজ করে যা দ্বীনে ইসলামে পূর্বে ছিল না,তাহলে সেই কাজ পরিত্যাজ্য। (বেখারী-মুসলিম)


বিদ'আতের পরিণতি
ইরবায ইবন সারিয়া (রাঃ) বলেনঃ
عَنْ أَبِي نَجِيحٍ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَرَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم مَوْعِظَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ! كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا، قَالَ: أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّيْنَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ؛ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

একদিন ফজরের সালাতের পর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন এক উচ্চাঙ্গের নসীহত করলেন যে, তাতে আমাদের চক্ষু থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হতে লাগল এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। তখন এক ব্যক্তি বললেনঃ এতো বিদায়ী ব্যক্তির মত নসীহত, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাদের উপর কি অসিয়্যাত করে যাচ্ছেন?
তিনি বললেন, তোমাদের আমি আল্লাহকে ভয় করার অসিয়্যাত করছি। যদি হাবশী গোলমও আমীর নিযুক্ত হয় তবুও তার প্রতি অনুগত থাকবে, তার নির্দেশ শুনবে। তোমাদের মধ্যে যারা বেঁচে থাকবে তারা বহু বিরোধ প্রত্যক্ষ করবে। তোমরা সাবধান থাকবে নতুন নতুন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া থেকে। কারণ তা হল গুমরাহী। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ঐ যুগ পাবে তার কর্তব্য হল আমার সুন্নাত এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতের উপর অবিচল থাকা। এগুলো তোমরা চোয়ালের দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরে রাখবে।(সুনানে তিরমিযি-২৬৬)



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...