ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى حَائِضًا أَوِ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا أَوْ كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم "
قَالَ أَبُو عِيسَى لاَ نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَكِيمٍ الأَثْرَمِ عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى التَّغْلِيظِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى حَائِضًا فَلْيَتَصَدَّقْ بِدِينَارٍ " . فَلَوْ كَانَ إِتْيَانُ الْحَائِضِ كُفْرًا لَمْ يُؤْمَرْ فِيهِ بِالْكَفَّارَةِ . وَضَعَّفَ مُحَمَّدٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . وَأَبُو تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيُّ اسْمُهُ طَرِيفُ بْنُ مُجَالِدٍ .
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কেউ হায়য বিশিষ্ট মহিলার সাথে সঙ্গম করলে বা স্ত্রীর পশ্চাৎদ্বার দিয়ে মিলিত হলে বা গণকের কাছে গেলে সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি অবতীর্ণ বিষয়সমূহের সাথে কুফরী করল। - ইবনু মাজাহ ৬৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ হাকীম আল-আছরাম আবূ তামীম আল হুজায়মী আবূ হুরায়বা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্র ছাড়া অন্য কোন সূত্রে এই হাদিসটি সম্পর্কে আমদের জানা নেই। আলিমগণ বলেন-এই হাদিসটির তাৎপর্য হল, এই বিষয়গুলি সম্পর্ক কঠোরতা প্রদর্শন। (এই ধরনের ব্যক্তি আসলেই কাফির হয়ে যাবে তা এর মর্ম নয়) রাসূল থেকে বর্ণিত আছে যে, কেউ যদি হায়য বিশিষ্ট মলিার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় যে যেন এক দ্বীনার সদকা করে দেয়। হায়য বিশিষ্ট স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হওয়া যদি বাস্তবিকই কুফরী হত তবে এক দ্বীনার দিয়ে এক কাফফারার বিধান দেওয়ার কোন অর্থ হত না। ইমাম মুহাম্মদ আল বুখারী (রহঃ) সনদের দিকক থেকে হাদিসটিকে যঙ্গফ বলে আখ্যায়িত করেছেন। রাবী আবূ তামীম আল হুজায়মীর নাম হল তারীফ ইবনু মুজালিদ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীর পিছনের রাস্তা দিয়ে সহবাস করা হারাম ও জগন্যতম অপরাধ। কেউ করে নিলে তাকে তাওবাহ করতে হবে। কাফফারা আসবে কি না? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ থাকলেও বিশুদ্ধমতানুযায়ী অনুতপ্ত হয়ে তাওবাহ ইস্তেগফার করাই এর কাফফারা। এবং এটা হানাফি ফিকহের সিদ্ধান্ত। সুতরাং আপনারা স্বামী স্ত্রী উভয়ে তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।