ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়।আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) হাই রিস্কের জন্য তখন যে বসে নামাজ পড়েছিলেন, সেটা আদায় হয়েছে। আবার আদায় করতে হবে না।
(২) মিসক্যারেজ হয়েছে জানার আগেই যে আপনার ১০/১২ দিন ব্লিডিং কন্টিনিউ ছিলো। সেটাকে আপনার পূর্বের হায়েযের অভ্যাস অনুযায়ী হায়েয হিসেবে গণনা করবেন। এবং মেডিসিন খাওয়ার পর যেই জমাট বাধা ব্লিডিং হয়েছে, সেটাকেও পূর্বে হায়েয বা আদত অনুযায়ী হায়েয ধরবেন।এবং অতিরিক্ত দিনকে ইস্তেহাযা ধরবেন।
(৩) আপনা পিরিয়ড অভ্যাস কখনো ৬ দিন এবং কখনো ৭ দিন থাকে। আপনি পূর্বের মাস অনুযায়ী হায়েয গণনা করবেন।পূর্বের মাসে যতদিন ছিলো, ততদিন হায়েয গণনা করবেন।
(৪) যেহেতু এটা কন্টিনিউসলি ব্লিডিং হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি অযু করে নামাজ পড়াই যথেষ্ট হবে।
(৫) নামাজের সময় ব্যাবহৃত প্যাড বদলাতে হবে। নাপাক বস্তু নিয়ে নামাজ পড়া যাবে না।
(৬) যেহেতু চার মাসের আগেই গর্ভপাত হয়েছে, তথা রুহ আসার আগেই গর্ভপাত হয়েছে, তাই সেটা পূর্ণ সন্তান বলা যাবে না।এবং জান্নাতেও দেখা হবে না।