আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
ছোট বাচ্চাদের (০- ৬ মাস) অনেক সময়ই শুইয়ে রাখা হয়। তাদের আই কন্টাক্ট ঠিক করার জন্য বা এমনিই ব্যস্ত রাখার জন্য বেডের উপরে বা দোলনায় কুশির কাজের বা কাপড়ের তৈরী কা'বা, চাঁদ-তারা সম্বলিত খেলনা রাখা জায়েজ হবে?

অনেক সময় বাচ্চারা উপরে পা তুলে রাখতে পারে, যেহেতু কা'বার নিদর্শন আছে এক্ষেত্রে কী গুণাহ হতে পারে?

আর একইভাবে বানানো খেলনা কাবা, ফেইসলেস ডল, দুম্বা এসব বানিয়ে বাচ্চাদের হজ্ব/উমরা করানো দেখানো যাবে? বা বাচ্চারা নিজেরা এগুলো খেলনা দিয়ে হজ্ব/উমরা করা খেলা খেলতে পারবে? এটা জায়েজ হবে?

আমি জানি না বুঝাতে পেরেছি কি না, এখানে ছবি এ্যাড করা গেলে বিষয়টা বুঝানো সহজ হতো। আসলে ছোটবেলা থেকেই বাচ্চারা যাতে ইসলামি জিনিস দেখতে/শিখতে পারে তাই এসব দেওয়ার চিন্তা। আবার এগুলা করতে গিয়ে কোনো ধরণের ফিতনার ফাঁদে পড়ি কি না সেই ভয়ও কাজ করে।

বি.দ্র.: কমেন্টে ছবিগুলোর লিংক দিয়েছি।

জাযাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো প্রাণীর ছবিতে যদি এমনভাবে আর্ট করা হয় যে, দেখার পর আর প্রাণীর ছবি বুঝা যায় না, তাহলে সেই অঙ্কনকাজ হারাম থেকে বাহির হয়ে যাবে। কিন্তু যদি দেখার পর সেটাকে প্রাণীর ছবিই মনে হয় বা সেটা প্রাণীর দিকে ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সেটা হারামই থাকবে।

কিন্তু যদি সমস্ত চেহারাকে মিটিয়ে দেয়া হয় অথবা মাথাকে কর্তন করে দেয়া হয় কিংবা মাথা এবং শরীরের মধ্যে কর্তন রেখা এটে দেয়া হয়, তাহলে যেহেতু এটা দ্বারা বাস্তবিক কোনো ছবি বুঝা যাবে না বা সেটা কোনো ছবির দিকে ইঙ্গিত করবে না, তাই অবশ্যই সেটার রুখসত থাকবে।

সুতরাং আপনি যেই ছবি পোষ্ট করেছেন, এরকম ছবি হারামের আওতাধীনই থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/92238

বাচ্ছাদেরকে পুতুল দেওয়া অনুচিৎ ও অনর্থক কাজ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/320

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং ছবি অঙ্কন বা পুতুল অঙ্কন করে শিশুদেরকে শান্ত করা কখনো সমুচিত হবে না। এই রকম অনর্থক ও বেহুদা কাজ থেকে মাতাপিতা অবশ্যই বিরত থাকবে। প্রাণহীন ছবি অঙ্কন করে তাদেরকে দেয়া যেতে পারে। কা'বা ঘরের ছবি বা কা'বা তৈরী করে শিশু সন্তানদেরকে না দেয়াই উচিৎ।কেননা তারা এতেকরে কা'বা ঘরের সাথে বে'আদবি মূলক আচরণ করতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...