আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
557 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম,

বিভিন্ন সুদভিত্তিক কার্যালাপে লিপ্ত ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের বলে থাকে যে- গ্রাহক  ইসলামিক (সুদ ছাড়া)  এবং নন ইসলামিক ( সুদ সহ) এই দুই এর যেকোনো উপায়ে  ব্যাংকএ টাকা স্থায়ী account এ জমা রাখতে পারবে। কিন্তু একটা সুদী ব্যাংকে ইসলামিক ভাবে টাকা রাখার ব্যাপারটা কতটা যুক্তিযুক্ত?  এটা কি মুনাফিকী ব্যবস্থা   হয়ে যাচ্ছে না?

( প্রশ্নটা নিজের কাছেই মনে হচ্ছে  দূর্বল কিন্তু কুরআন ও সুন্নাহ এর আলোকে জানতে চাচ্ছি)

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জবাবঃ-
সুদী ব্যাংক সমূহে একাউন্ট খুলে টাকা গচ্ছিত রাখা যাবে কি না?
এ সম্পর্কে বলা যায় যে,বর্তমান সময়ে বাসায় টাকা-পয়সা রাখা অনেকটা অনিরাপদ।অন্যদিকে সুদ হারাম,এবং সুদী কাজে সাহায্য করাও হারাম।
তাই বলা যায় যে,এসমস্ত ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখা যাবে না।কেননা তখন ব্যাংক কর্তৃত আইনগতভাবে উক্ত টাকা সুদী কারবারে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও ব্যাংক চাহিবামাত্র গ্রাহককে উক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকে।
এজন্যই উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন যে,উক্ত ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা রাখতে হবে।কেননা কারেন্ট একাউন্টের টাকা আইনগতভাবে ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেনা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- 753


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যাংক সমূহে টাকা গচ্ছিত না রাখাই মূল বিধান।চায় নামধারী ইসলামী ব্যাংক হোক বা সুদী ব্যাংক হোক।এবং চায় সেভিংস একাউন্ট হোক বা কারেন্ট একাউন্ট হোক।কেননা এদ্বারা সুদী কারবারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।তবে যেহেতু বাসায় বা পকেটে টাকা রাখা বর্তমানে অনিরাপদ।তাই উলামায়ে কেরাম কারেন্ট একাউন্টে টাকা গচ্ছিত রাখার রুখসত দিয়ে থাকেন।কারেন্ট একাউন্ট খোলা সম্ভব না হলে,সুদ গ্রহণ না করার শর্তে সেভিংস একাউন্ট খোলারও অনুমোদন ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন।

সুদী ব্যাংকে ইসলামিক একাউন্ট এবং সুদী একাউন্ট কিভাবে সম্ভব?
হয়তো এমন হতে পারে যে,সুদবিহীন একাউন্টের টাকা তারা কোনো কাজে লাগাবে না।এবং এর বিনিময়ে সুদও তারা দিবে না।আর সুদসহ একাউন্টের টাকাকে তারা সুদি কারবারে লাগাবে,এবং গ্রাহক তথা টাকার মালিককে তারা কিঞ্চিৎ সুদও দিবে।এমনটা সম্ভব রয়েছে।

অথবা তারা গ্রাহকদেরকে কাছে ভিড়ানোর জন্য মিথ্যা বলছে,এমনটাও হতে পারো।বাস্তবে তারা সুদ না দিলেও ইসলামিক একাউন্টের টাকাকে সুদি কারবারে লাগিয়ে থাকে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...