মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
والذين لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللهِ إلٰهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَ - وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ يَلْقَ أَثَامًا لا) (الفرقان:68)
আর তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন উপাস্যের ‘ইবাদাত করে না; আল্লাহ যার হত্যা হারাম করেছেন সঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। আর যে এরূপ করবে সে তো কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবেই। (সূরাহ ফুরক্বান ২৫/৬৮)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَنْصُوْرٌ وَسُلَيْمَانُ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ أَبِيْ مَيْسَرَةَ عَنْ عَبْدِ اللهِ ح قَالَ وَحَدَّثَنِيْ وَاصِلٌ عَنْ أَبِيْ وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَأَلْتُ أَوْ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الذَّنْبِ عِنْدَ اللهِ أَكْبَرُ قَالَ أَنْ تَجْعَلَ للهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ قُلْتُ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ خَشْيَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ قُلْتُ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ أَنْ تُزَانِيَ بِحَلِيْلَةِ جَارِكَ قَالَ وَنَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ تَصْدِيْقًا لِقَوْلِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ (وَسَلَّمَ وَالَّذِيْنَ لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللهِ إِلَهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَ)
‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, অথবা অন্য কেউ জিজ্ঞেস করলো, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বড় গুনাহ্ কোনটি? তিনি বললেন, কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা, অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি জবাব দিলেন, তোমার সন্তানকে এ আশংকায় হত্যা করা যে, তারা তোমার খাদ্যে ভাগ বসাবে। আমি বললাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন,এরপর হচ্ছে তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করা। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ কথার সমর্থনে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়- ‘‘এবং তারা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহকে আহবান করে না। আল্লাহ্ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না।’’ [বুখারী ৪৭৬১.৪৪৭৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪০০)
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنَ الْكَبَائِرِ شَتْمُ الرَّجُلِ وَالِدَيْهِ» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ يَشْتُمُ الرَّجُلُ وَالِدَيْهِ؟ قَالَ: «نَعَمْ يَسُبُّ أَبَا الرَّجُلِ فَيَسُبُّ أَبَاهُ ويسبُّ أمه فيسب أمه» . مُتَّفق عَلَيْهِ
’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিজের মাতা-পিতাকে গালি দেয়া কাবীরাহ্ গুনাহসমূহের মধ্যে অন্যতম। সাহাবায়ি কিরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রসূল! মানুষ কি তার পিতা-মাতাকে গালি দেয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, সে কোন ব্যক্তির বাবা ও মাকে গালি দিল, সেই ব্যক্তিও তার বাবা ও মাকে গালি দিল।
বুখারী ৫৯৭৩, মুসলিম ৯০-(১৪৬), আবূ দাঊদ ৫১৪১, তিরমিযী ১৯০২, সহীহুল জামি‘ ৫৯০৮, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫১৪, শু‘আবুল ঈমান ৪৮৫৯, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৩/১৭২, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২১৬১৬।
শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো রিযিকের ভয়ে সন্তান/প্রাণ আসার পর ভ্রুন হত্যা করা। এরপর সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করা।
★প্রশ্নে আপনি যে ধারা উল্লেখ করেছেন,সেমতে শিরকের পর সবচেয়ে বড় গুনাহ হলো কবিরা গুনাহ।