জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اِنَّ اللّٰہَ وَ مَلٰٓئِکَتَہٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡہِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا ﴿۵۶﴾
নিশ্চয় আল্লাহ নবীর প্রশংসা করেন এবং তার ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দোআ-ইসতেগফার করেন। হে ঈমানদারগণ! তোমরাও নবীর উপর সালাত পাঠ কর এবং তাকে যথাযথ ভাবে সালাম জানাও।
(সুরা আহযাব ৫৬)
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَؤُلاَءِ الْكَلِمَاتِ فِي الْوَتْرِ قَالَ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ " .
মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... হাসান ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিয়েছেন বিতরের সালাতে (পড়বার জন্য) তিনি বলেছেন, তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ وَصَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ
(সুনানে নাসায়ী ১৭৪৯ ইফাঃ)
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে সব চেয়ে ছোট দরুদ হলোঃ-
صَلَّى اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ
সাল্লাল্লাহু আলান নাবিয়্যি মুহাম্মাদ।
কেউ কেউ নিম্নোক্ত তিনটি দরুদকে ছোট দরুদ বলেছেনঃ
(الف) اللّہم صلّ علی محمد وعلی آل محمد ۔ (ب) وصلی اللہ علی النبي الأميّ ۔ (ج) وصلی اللہ علی النبيّ محمد۔ (زاد السعید، ص: ۱۳، ۲۲، ۳۲، ط: لاہور)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যে দরুদ শরীফ উল্লেখ করেছেন,উভয়টি একই।
শুধু একটাতে "সা" আকার দিয়ে উল্লেখ রয়েছে। অপরটিতে আকার দেয়া নেই,শুধু "স" লেখা আছে।
সুতরাং উভয়টি একই দরুদ।
উভয় বানানই শুদ্ধ।
(০২)
রাহিমাহুল্লাহ/রহমাতুল্লাহি আলাইহি। অর্থ: আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন অথবা তার উপর রহমত (দয়া) বর্ষিত হোক।
(০৩)
রাযিআল্লাহু আনহু/রাদিআল্লাহু আনহু অর্থ= আল্লাহ তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
"আস্তাগফিরুল্লাহ" বলতে হবে।
(০৫)
"নাবি/রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম"
বলতে হবে।
নবি সাব বলা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শানের খেলাফ।