নামাজের উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব।
কেহ আদায় না করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فَقَامَ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ، فَلَمَّا كَانَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهْوَ جَالِسٌ.
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মালিক (রাযি.)- যিনি ইবনু বুহাইনা- হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করলেন। দু’ রাক‘আত পড়ার পর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন অথচ তাঁর বসা জরুরী ছিল। অতঃপর সালাতের শেষভাগে বসে তিনি দু’টো সাজদাহ্ করলেন। (বুখারী ৮৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯২)
শরীয়তের বিধান হলো মুক্তাদীর এমন ভুল যার দ্বারা নামায ভঙ্গ হয় না, এমন কোন কাজ ইমামের পিছনে মুক্তাদী করলে এতে মুক্তাদীর উপর কোন কিছু যথা সাহু সেজদা আবশ্যক হয় না। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা তাশাহুদ না পড়া বা পড়েছেন কিনা মনে না থাকা যেহেতু নামাজ ভঙ্গের কারন নয়,তাই এতে মুক্তাদির উপর কোন কিছুই আবশ্যক নয়। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত আপনার নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। পুনরায় আর আদায় করতে হবেনা।
فَأَمَّا الْمُقْتَدِي إذَا سَهَا فِي صَلَاتِهِ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ؛ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ السُّجُودُ؛ لِأَنَّهُ إنْ سَجَدَ قَبْلَ السَّلَامِ كَانَ مُخَالِفًا لِلْإِمَامِ، وَإِنْ أَخَّرَهُ إلَى مَا بَعْدَ سَلَامِ الْإِمَامِ يَخْرُجُ مِنْ الصَّلَاةِ بِسَلَامِ الْإِمَامِ؛ لِأَنَّهُ سَلَامُ عَمْدٍ مِمَّنْ لَا سَهْوَ عَلَيْهِ، فَكَانَ سَهْوُهُ فِيمَا يَرْجِعُ إلَى السُّجُودِ مُلْحَقًا بِالْعَدَمِ لِتَعَذُّرِ السُّجُودِ عَلَيْهِ، فَسَقَطَ السُّجُودُ عَنْهُ أَصْلًا، (بدائع الصنائع، كتاب الصلاة، فصل وَأَمَّا بَيَانُ مَنْ يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَمَنْ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ-1/175، الفتاوى الهندية-1/128، رد المحتار-2/82)
সারমর্মঃ
যদি মুক্তাদি নামাজের ভিতর কোনো ভুল করে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কেননা তার জন্য সেজদায়ে সাহু আদায় করার কোনো ইমকান, সুযোগ নেই।
কেননা যদি সে ইমামের সালামের আগেই সালাম ফিরায়,তাহলে ইমের মুখালিফ তথা বিরোধিতা হলো।
যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরানোর পর সেজদায়ে সাহু আদায় করে,তাহলে সে তো ইমামের সাথে নামাজ থেকে বের হয়ে গিয়েছে,,,,,