আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in সাওম (Fasting) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।

আজকে সেহরীর শেষ সময় ছিল ০৫:০৩ মিনিট পর্যন্ত মুসলিম বাংলা এপ অনুযায়ী। আমি ঠিক ০৫:০৩ এ পানি খেয়েছি।
মনে করেছিলাম আরো ২ মিনিট সময় আছে।

আমার কি রোজাটা হবে? যদি না হয়, তাহলে কি আবার কাজা করতে হবে? আর আজকেও সারাদিন রোজাদারের মত কাটাতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/83558/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]

 

যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়

১. রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।

২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছু শরীরে প্রবেশ করালে।

৩. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।

৪. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদেকের পর পানাহার করলে।

৫. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।

৬. ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে।

৭. জোরপূর্বক সহবাস করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর শুধু কাজা করতে হবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দু’টোই করতে হবে।

৮. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে।

৯. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।

১০. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।

১১. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।

১২. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

এখানে একটা বিষয় লক্ষণীয় যে, প্রচলিত সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক কয়েক মিনিট আগ-পিছ করা থাকে।

উদাহরণসরূপ:

মনে করুন, সুবহে সাদিক আরম্ভ হয় (ক্যালেন্ডার অনুযায়ী) ৪ টা বেজে ১৫ মিনিটে (সতর্কতা মূলক ২/৩ মিনিট পর দেওয়া আছে। তাহলে বাস্তবে সুবহে সাদিক শুরু হতে পারে ৪ টা ১৩/১৪ মিনিটে) তেমনী ভাবে ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক সাহরী খাওয়ার শেষ সময় দেওয়া আছে যে, ৪টা ১০ মিনিটে।

 

তাহলে বুঝা গেল, সাহরী খাওয়ার শেষ সময় মূলত ৪টা ১২/১৩ মিনিটে। তাই ক্যালেন্ডারে ৪ টা ১০ মিনিট লেখা থাকলেও আপনি  ৪ টা ১২/১৩ মিনিটের আগ পর্যন্ত খেতে পারবেন (তবে সতর্কতা মূলক ৪ টা ১০ মিনিটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উত্তম হবে) কিন্তু এর পর খেলে আর রোযা হবে না। তাই আপনি নিজে নিজেই চিন্তা করে দেখুন আপনি কখন খেয়েছেন।

 

বিঃদ্রঃ নামাজ-রোজার জন্য আপনার এলাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যালেন্ডার দেখতে পারেন। কারণ, এলাকা ভিত্তিক সাহরীর শেষ সময়ের মধ্যে বেশ কয়েক মিনিট কম-বেশী থাকে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 166 views
0 votes
1 answer 158 views
0 votes
1 answer 177 views
...