জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে বিড়াল পোষা জায়েজ আছে। তবে তাদের সার্বিক দেখাশোনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাকি এমনিতে অধিক অর্থ ব্যয় করে বিড়াল ক্রয় করা অনর্থক খরচ। যা মাকরূহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ – قَالَ: أَحْسِبُهُ – فَطِيمًا، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ: «يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ» نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ، فَرُبَّمَا حَضَرَ الصَّلاَةَ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ وَيُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাঃ সবার চেয়ে বেশি সদাচারী ছিলেন। আমার একজন ভাই ছিল। তাকে আবু উমায়ের ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ে দুধ খেতো না। যখনি সে তার নিকট আসতো, তিনি বলতেন, হে আবু উমায়ের! তোমার নুগায়ের কি করছে? সে নুগায়ের পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন নামাযের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তার নিচে যে বিছানা থাকতো, সামান্য পানি ছিটিয়ে ঝেরে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি নামাযের জন্য দাড়াতেন। এবং আমরাও তার পেছনে দাড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে নামায আদায় করতেন। {বুখারী, হাদীস নং-৬২০৩}
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★বিড়াল অপবিত্র হয়ে ভেজা অবস্থায় বিছানায়, কাপড়ে বা জায়নামাজে বসলে তা অপবিত্র হবে।
এখানে তার শরীরে নাপাকি ভেজা ছিলো কিনা?
না কি শুকনো ছিলো?
নিশ্চিত ভাবে সেই ভেজা নাপাকিই ছিলো কিনা,নাকি অন্যান্য পানি,গন্ধ দিয়ে হলেও সেই ব্যপারে নিশ্চিত হতে হবে।
নাপাকই যদি হয়,তাহলে এক দিরহাম পরিমানের চেয়ে কম লেগেছে,না কি তার সমপরিমাণ বা বেশি?
,
সবকিছু নিশ্চিত হয়ে নাপাকির হুকুম লাগাতে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ