আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
947 views
in পবিত্রতা (Purity) by (36 points)
অনেক মুসলমান বিড়াল পালে।যেহেতু ওরা পেশাব পায়খানা করার পর পাক হয় না তাহলে তো ওরা ঘরের আসবাবপত্র লারাক করে ফলে।এ ব্যাপারে শরীআতের হুকুম কী?
by
+1
দু:খিত নাপাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,440 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে বিড়াল পোষা জায়েজ আছে। তবে তাদের সার্বিক দেখাশোনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাকি এমনিতে অধিক অর্থ ব্যয় করে বিড়াল ক্রয় করা অনর্থক খরচ। যা মাকরূহ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ – قَالَ: أَحْسِبُهُ – فَطِيمًا، وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ: «يَا أَبَا عُمَيْرٍ، مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ» نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ، فَرُبَّمَا حَضَرَ الصَّلاَةَ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ وَيُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাঃ সবার চেয়ে বেশি সদাচারী ছিলেন। আমার একজন  ভাই ছিল। তাকে আবু উমায়ের ডাকা হতো। আমার অনুমান যে, সে তখন মায়ে দুধ খেতো না। যখনি সে তার নিকট আসতো, তিনি বলতেন, হে আবু উমায়ের! তোমার নুগায়ের কি করছে? সে নুগায়ের পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন নামাযের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তার নিচে যে বিছানা থাকতো, সামান্য পানি ছিটিয়ে ঝেরে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি নামাযের জন্য দাড়াতেন। এবং আমরাও তার পেছনে দাড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে নামায আদায় করতেন। {বুখারী, হাদীস নং-৬২০৩}

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★বিড়াল অপবিত্র হয়ে ভেজা অবস্থায়  বিছানায়, কাপড়ে বা জায়নামাজে বসলে তা অপবিত্র হবে।
এখানে তার শরীরে নাপাকি ভেজা ছিলো কিনা?
না কি শুকনো ছিলো?
নিশ্চিত ভাবে সেই ভেজা নাপাকিই ছিলো কিনা,নাকি অন্যান্য পানি,গন্ধ দিয়ে হলেও সেই ব্যপারে নিশ্চিত হতে হবে। 
নাপাকই যদি হয়,তাহলে এক দিরহাম পরিমানের চেয়ে কম লেগেছে,না কি তার সমপরিমাণ বা  বেশি?
,
সবকিছু নিশ্চিত হয়ে নাপাকির হুকুম লাগাতে হবে। 
 
বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...