জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রথমেই আমরা জেনে নেই যে প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় অর্থাৎ জায়নাজ পা দিয়ে সরিয়ে একটু দূরে বিছানো বা পা দিয়ে জায়নামাজ টা ঠিক করা জায়েজ আছে।
এতে কোনো গুনাহ নেই।
বাকি কুরআনকে পেচিয়ে রাখার জন্য যেমন জুযদানের আদব আছে,
(আল্লাহ তায়ালা বলেন
ذَٰلِكَ وَمَن يُعَظِّمْ شَعَائِرَ اللَّهِ فَإِنَّهَا مِن تَقْوَى الْقُلُوبِ [٢٢:٣٢
এটা শ্রবণযোগ্য কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্তুসমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তাতো তার হৃদয়ের আল্লাহভীতি প্রসূত। [সূরা হাজ্জ্ব-৩২])
তেমনি এটার উপর যেহেতু নামাজ পড়া হয়,তাই এখানে আদবের একটি বিষয় চলে এসেছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আদবের খেলাফ হয় কিনা,তাই আদবের মাসআলা জানুনঃ
আদবের সম্পর্ক উরফ তথা সমাজের সাথে।
যেটাকে সমাজ বেয়াদবি মনে করে,সেটা বেয়াদবি।
আর যেটাকে সমাজ আদবের মধ্যেই গননা করে,সেটা জায়েজ,আদবের মধ্যেই সেটি পড়া।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৬৫)
,
الأدب: ہو الطریقۃ الحسنۃ في المعاشرۃ وغیرہا۔ (بذل المجہود ۱۳؍۲۰۵ بیروت)
সারমর্মঃ সামাজিক ভাবে যেটাকে সুন্দর তরীকা বলা হয়,সেটিই আদব।
.
বুযুর্গানে দ্বীন যেই বই পড়বে,সেটার আদব করতে বলেছেন।
বলা হয়েছে যে,
আমাদের অতীত মনীষীগণের অভিজ্ঞতা হলো ইলম পেতে হলে আসবাবে ইলমের আদব ও তাযীম ধারণ করতে হবে অন্তর জুড়ে।
আসবাবে ইলম- ইলম অর্জনের উপায় ও উপকরণের মধ্যে উস্তাদই সর্বশীর্ষে। তাই উস্তাদই আদব ও তাযীমের ঘটনাবলিতে আমাদের ইতিহাস আকীর্ণ। আমাদের ইতিহাসের প্রথম শিক্ষক যেমন প্রিয়তম নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তেমনি প্রথম ছাত্র সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আজমাঈন। আর তাঁরাই আমাদের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সফল কাফেলা। আমাদের সফলতার ইতিহাসে তাঁরাই বাতিঘর।
আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী রহঃ সম্পর্কে বর্ণিত আছে — কিতাব পড়ার সময় কিতাবকে তার অনুগত করতেন না। যে আসনে বসে কিতাব অধ্যয়ন করতেন প্রয়োজনীয় টীকা এর বিপরীতে হলে পড়ার জন্যে কিতাব ঘুরাতেন না। নিজে উঠে গিয়ে টীকাটা পড়ে নিতেন। [মাওলানা আনযার শাহ কাশমিরী, নকশে দাওয়াম : ১০৮ পৃ.]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত কাজ যদি আপনাদের সমাজে আদবের খেলাফ মনে করে,তাহলে উক্ত কাজ আদবের খেলাফ হবে।
,
তবে এতে কোনো প্রকারের গুনাহ নেই।