ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি জরুরী বা শর্ত নয়।তবে সমতা রক্ষা করতে না পারলে দ্বিতীয় বিবাহ করা জায়েয হবে না।
فَانكِحُوا مَا طَابَ لَكُم مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنَىٰ وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً [٤:٣]
সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই [সূরা নিসা-৩]
প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়ে করলে যদিও শরীয়তের দৃষ্টিতে বিয়ে হয়ে যায়, তথাপি সরকারি নিয়মকে ফলো করে প্রথম স্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে বিয়ে করা উচিৎ।এতেকরে বর্তমান সময়ের অনেক প্রকার ফিতনা ফাসাদ থেকে পরিবারকে রক্ষা করা যায়।লুকিয়ে বিয়ে করা কখনো কোনো মুসলিম যুবক যুবতির জন্য কাম্য হতে পারে না। বরং প্রকাশ্যে সবাইকে জানিয়েই বিয়ে করা উত্তম ও মুস্তাহাব। তাছাড়া এক্ষেত্রে প্রথমা স্ত্রী খুশীও হবে।আর স্ত্রীকে খুশী করা অত্যান্ত প্রশংসনীয় কাজ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/37852
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম স্ত্রী ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মুকাবেলা করবেন। পূর্বের মতই স্বামীর যত্ন নিবেন। স্বামীর সাথে ভালো ও উত্তম আচরণ করবেন।এটাই উনার জন্য কল্যাণকর হবে।