আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
edited by
১.আমার প্রায় এক গাদা কাপড় মেজর কোন নাপাকী ছিল না,সরাসরি কোন নাপাকী ও লাগে নি,দু একটা তে একটু সাদা স্রাব ও থাকতে পারে আমার মনে নেই,আর একটা তে হায়েজ ছিল কিনা মনে নেই,তবে সেই কাপড় আলাদা ধোয়া হয়েছে,কিন্তু আমি শুচিবায়ু টাইপ এর,ওয়াসওয়াসা আছে মোটামুটি,বাথরুম এ পানি খরচ করার সময় বদনার পানি বা খরচ করা পানি ছিটে,এটা নাপাকী কিনা ঠিকভাবে জানিনা,তাই আমি সব কাপড় নাপাক কাপড় এর মত ধুই,কিন্তু আমার নানু সব কাপড় ধুয়ে ফেলছে,ধোয়ার সময় তিনবার চিপে চিপে ধোয় নি,এক বালতিতে একই পানিতে একাধিক কাপড় পানি বদলে বদলে ধুয়েছে,ধোয়ার সময় তিনবার পাল্টানো নিয়ম অনুযায়ী করে নি,আর ধোয়ার আগে আগে সাবান দিয়ে কেচে নিয়েছে,এবং কাপড় পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং নাপাকী এর কোন চিহ্ন নেই এমন কি ধুলাবালি এর দাগ ও চলে গেছে,আলহামদুলিল্লাহ,এখন কি কাপড় কি পাক হয়েছে?নামাজ পড়া যাবে?নাকি সব আবার ধুয়ে দিতে হবে?

২.আমি খুব একটা গোছালো মানুষ না আমার মামী এসে আমাকে গল্প করতে করতে বলে ওনার ফুপাতো বোন কোন কিছুর যত্ন নেয় না,ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোন দোষ বা কমতির কথা বলে যেই কমতি বা দোষ আমার মাঝে আছে,ওনার সাথে আমার কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছে,তখন মাঝে মাঝে বলে অমুকের ব্যাবহার খুব ভালো,প্রায় ই এমন কথা বলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে,এই বিষয় গুলো আমার কিভাবে নেয়া উচিত?আর যখন এভাবে বলে তখন কি উত্তর দেয়া উচিত?

৩.কাপড় চিপা এর সময় আমি অনেক বেশি চিপে ফেলি,চিপতে চিপতে হাতের চামড়া ছিলে যায়,যতক্ষণ পানি বের হয় অনেক শক্তি প্রয়োগ করে চিপতে ই থাকি,এটা বেশ কষ্টসাধ্য আর সময়সাপেক্ষ,আমার কতটুকু চিপা উচিত?

৪. ট্যাপের পানি তে কাপড় প্রবাহিত পানির মত কিছুক্ষণ ধুয়ে নিয়ে,যদি আবার বালতি তে পানি বদলে বদলে ২/৩ ধুয়ে সাধারণ ভাবে চিপে নেই এতে কি কাপড় পাক হবে?মেজর কোন নাপাকী লাগে না,প্রসাবের ছিটে ফোটা,বা প্রসাব থেকে পরিষ্কার হওয়ার সময় ব্যাবহৃত পানি যেটা নাপাক হতে ও না ও হতে পারে,এবং যেটা খুব সামান্য পরিমাণে লাগে।

৫.আমার আব্বু আম্মু আমাকে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে বলছে,এক সময় বলে ৮/৯ টায় ঘুমাব,একসময় বলছে ১০ টা,আমার কোন টাইম এ ঘুমানো উচিৎ,আর আমি টিউশন করাই আলহামদুলিল্লাহ আর নামাজ খাওয়া দাওয়া করতে করতে দেরি হয়ে যায় পড়াশুনা আছে,১০ টার মধ্যে হয় না,এতে কি অবাধ্য হয়ে যাব?

৬.বাবা মায়ের আদেশ মেনে না চললে নাকি কোন ইবাদত কবুল হয় না এটা কি সত্যি?এমনি অনেক সময় পরামর্শ দিয়ে থাকে এটাও কি আদেশের অন্তর্ভুক্ত?যেটা জোর দিয়ে বলে না যেমন বলতে পারে ১২ টা এর সময় গোসল করবা,এতে কি আমাকে ১২ টা এর সময় ই গোসল করতে হবে?

৭.বিদেশে লোক পাঠানো বা আদম ব্যাবসা কি জায়েজ?

৮.পরিবারের মানুষকে কিভাবে দ্বীন এর দাওয়াত দিতে পারি?

৯.আমার বিয়েতে যদি (ইন শা আল্লাহ)কেউ বেপর্দা হয়ে সাজগোজ করে আসে এবং ফেসবুক এ ছবি আপলোড করে,বা ফ্রি মিক্সিং করে এতে কি আমার গুনাহ হবে?

১০.অনেকগুলো কাপড় একসাথে ধোয়ার পর যদি কোন কাপড়ে দৃশ্যমান নাপাকী থাকে তাহলে কি সবগুলো কাপড় ধুয়ে দিতে হবে নাকি নাপাকী যুক্ত কাপড় ধুয়ে ফেললে ই হবে?

1 Answer

0 votes
by (596,370 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ওয়াসওয়াসা জনিত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না। প্রথমে ওয়াসওয়াসা কোর্স করে তারপর অফিস থেকে যেই কোড নাম্বার দেয়া হবে, সেই কোড নাম্বার উল্লেখপূর্বক প্রশ্ন করলে কেবল তখনই উত্তর দেয়া হবে।
কোর্স করতে এখানে ক্লিক করুন-


(২) কোনো উত্তর না দিয়ে বরং উনার সাথে ভালো ও উত্তম আচরণ করবেন।

(৩) পানি যখন আর টপটপ করে পড়বে না, তখন চিপা বন্ধ করে দিবেন।

(৪) জ্বী, উক্ত পদ্ধতিতে পাক হবে।

(৫) এশার নামাযের পর জরুরী কোনো কাজ না থাকলে সাথে সাথেই শুয়ে পড়বেন। যতদ্রুত সম্ভব ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।

(৬) বাবা মায়ের আদেশ কে যথাসম্ভব মানতে হবে। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1707 

(৭) বিদেশে লোক পাঠানো বা আদম ব্যাবসা নাজায়েয হবে না যদি তাতে কোনো প্রকার ধোকা না থাকে।তবে ধোকা প্রতারণা ও জুলুম নির্যাতন তাতে থাকলে তখন কিন্তু উক্ত পেশা জায়েয হবে না।

(৮)
হেকমতের সাথে নরম ভাষায় আলতো করে সময়ে বুঝে দাওয়াত দিতে হবে।

(৯)
আপনার বিয়েতে যদি কেউ বেপর্দা হয়ে সাজগোজ করে আসে এবং ফেসবুক এ ছবি আপলোড করে,বা ফ্রি মিক্সিং করে এতে আপনার গুনাহ হবে না। তবে আপনার উপর ওয়াজিব দায়িত্ব হচ্ছে,আপনি/আপনারা ফ্রিমিক্সিং মুক্ত পরিবেশ রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...