ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১+২+৩)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّىٰ يُغَيِّرُوا مَا بِأَنفُسِهِمْ ۗ وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلَا مَرَدَّ لَهُ ۚ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।( সূরা রা'দ-১১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর হুকুমে সবকিছুই হয়। জ্বীনরা মানুষের সাথে শত্রুতা করে থাকে। এত্থেকে বাঁচতে সকাল সন্ধ্যা সূরা নাস ও সূরা ফালাকের আ'মল রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত রয়েছে। হ্যা, যারা দৈনন্দিন ফরয ওয়াজিব ও মুস্তাহাব আ'মল গুলো করে থাকেন, তাদের কে সাধারণত ক্ষতি করতে পারে না। তবে তারপরও আল্লাহর হুকুম থাকলে জ্বীনরা ক্ষতি করতে পারে। এজন্য দৈনন্দিন সকল প্রকার আ'মল করে আল্লাহর কাছে জ্বীন ও মানুষের ক্ষতি থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।
(৪) এটা হস্তমৈথুন হবে না। তবে এটা অরর্থক কাজ। এজন্যই সতর্কতাপূর্ণ অবস্থান হলো, স্বামী স্ত্রী একসাথে বসবাস করবে।
(৫) আল্লাহ কে নিয়ে চিন্তা করা বিদ'আত। বরং মাখলুকাত নিয়ে চিন্তা করতে হবে।আল্লাহ আল্লাহর মতই আছেন।এমনটা আকিদা রাখতে হবে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ»
হযরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হযরত আয়শা রাঃ এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকদীর বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদীর বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪}