বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অতীতের কাযা হয়ে যাওয়া রোযার কা'যার ক্ষেত্রে তারতীব কি ওয়াজিব? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।
(ক) হাম্বলী মাযহাবের উলামাদের মতে তখনো তারতীব ওয়াজিব।
(খ) হানাফিক ফিকহের সিদ্ধান্ত হল, এক্ষেত্রে তারতীব ওয়াজিব হবে না।
" لَوْ وَجَبَ عَلَيْهِ قَضَاءُ يَوْمَيْنِ مِنْ رَمَضَانَ وَاحِدٍ، فَصَامَ وَلَمْ يُعَيِّنْ الْأَوَّلَ: جَازَ. وَكَذَا لَوْ كَانَا مِنْ رَمَضَانَيْنِ، عَلَى الْمُخْتَارِ؛ حَتَّى لَوْ نَوَى الْقَضَاءَ لَا غَيْرُ: جَازَ. اهـ . فَتْحُ الْقَدِيرِ " انتهى.
যদি কারো উপর একই রমজানের দুইটি রোযা কা'যা থাকে, এবং ঐ ব্যক্তি রোযাকে কা'যা করে, এবং কা'যার ক্ষেত্রে রোযাকে নির্দিষ্ট না করে, তাহলেও কা'যা রোযা আদায় হবে।ঠিকতেমনিভাবে দুই রমজানের দুইটি রোযা হলেও কা'যা করার সময় নির্দিষ্ট না করলে সেগুলোও আদায় হবে।এমনকি কোনো একটিকে নির্দিষ্ট না করে বরং শুধুমাত্র কা'যার নিয়ত করে আদায় করলে সেই রোযাও আদায় হবে।(তাবয়ীনুল হাকাইক্ব-৬/২২০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ধারাবাহিকতা রক্ষা করে কা'যা করা উত্তম তবে ওয়াজিব নয়।তাই কেউ যদি ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে, তাহলে তার কাযা রোযাও আদায় হবে।
(২) সমস্যা নেই ধারাবাহিকতা রক্ষা না হলেও রোযা আদায় হবে।
(৩) যথাসম্ভব ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করে নিবেন।তবে কোনো কারণে সম্ভব না হলে কোনো সমস্যা হবে না।