ওয়া আলাইকুম আসসালামা ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জবাবঃ-
রাজারবাগ দরবার শরীফ ,দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ-এমন পীরের মুরিদ যারা,তাদের বাতিল আকাদার প্রতি সমর্থন রেখে,তাদের নিকট থেকে বরকতের নিয়তে কোনো কিছু গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।বরং এটা সর্বদাই অগ্রহণযোগ্য ও পরিত্যাজ্য বলে বিবেচিত হবে।
ইলমে মা'রিফত যাকে তাসাউফ বলা হয়।তাসাউফ সম্পর্কে পূর্বের একটি ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
মানুষের সাথে সম্পর্কিত আ'মল দুই প্রকার যথাঃ-
(১)প্রকাশ্য আ'মল
(২)অপ্রকাশ্য আ'মল
প্রকাশ্য আ'মল আবার দু ধরণের হতে পারে। যথাঃ
(ক) ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় যেমনঃ- নামায,রোযা, ইত্যাদি।
(খ)নেতিবাচক যেমন - চুরি-ডাকাতি,ব্যভিচার ইত্যাদি।
ঠিকতেমনিভাবে অপ্রকাশ্য আ'মল ও দু ধরণের হতে পারে।
যথাঃ
(ক)ইতিবাচক ও প্রশংসিত যেমনঃ- বিনয়,ভদ্রতা ইত্যাদি।
(খ)নেতিবাচক ও নিন্দনীয় যেমনঃ- অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষকে লালন করে,অহংকার, অভদ্রতা।
প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবগুলো আ'মলই কুরআন-হাদীসে বর্ণিত থাকলেও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কিন্তু শুধুমাত্র প্রকাশ্য আ'মল গুলোরই শিক্ষা দেয়া হয়।এবং কোথাও কোথাও এ দুই প্রকারের আ'মলের শিক্ষার সিলেবাস থাকলেও ব্যবহারিকভাবে শুধুমাত্র প্রকাশ্যে আ'মলেরই শিক্ষা দেয়া হয়।অপ্রকাশ্য আ'মলের শিক্ষা দেয়া হয় না বললেও অত্তুক্তি হবে না।এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাকে অনেকে অনুভবও করেন না।
যেহেতু প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অা'মলের সবগুলোই কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং পূর্ণ মানুষত্ব্য অর্জনের জন্য সবগুলোরই অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।বিশেষ করে অপ্রকাশ্য অা'মল গুলো অবহেলিত হওয়ায় সেটার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যকীয়। বিস্তারিত জানতে ভ ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1037