আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর আমি একজন মেয়ে,আমি ঘরে বসে রিমোট জব করি ,আমার সেলারীটা তারা সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে দিবে ,অন্য কোনো মাধ্যমে দিবেনা ,এটাকি সুদ হবে !? এভাবে সেলারী গ্রহণ করাকি জায়েজ হবে !?
2.আমার মা পর্দা করেনা , মোবাইলে অনেক সময় পার করেন,
একজন ছেলের সাথে সব সময় কল / মেসেজে কথা বলেন,দ্বীন মেনে চলেনা ,আগে পরিবারে কোনো ঝগড়া /মারামারি ,অনেক অশান্তি হলে সব সময় ফাঁসি লাগাতে যেতো ,,সালাত আদায় করেনা ,তাকে বুঝতে গেলে অনেক রেগে যায় ,আমার মায়ের এইসব কিছুতে ঘৃণা হয় ,উপরে উপরে নাটক করে ভালো ব্যবহার করা আমার পক্ষে সম্ভব নয় ,সব সময় মুখ কালো করে থাকি,রাগ করে থাকি ,উনি কথা বললে উত্তর দেই ,আগে মা বেশি কাজ করলে আমার খুব কষ্ট হতো একটু হলেও কাজে সাহায্য করতাম ,কিন্তু এখন সারাদিন কাজ করলেও ,সে অসুস্থ হলেও তার প্রতি কোনো অনুভূতি আমার আর আসছেনা !! আমি কি করবো হুজুর ,,আমি চাইলেও তার এতে ভালো ভাবে কথা বলতে পারিনা,সে আমার অবহেলা বুঝতে পারে যেচে যেচে কথা বলে ,আমি উত্তর দিতে মন চাইলে দেয় নয়তো না ,আমি মাকে খুবই ভয় পাই , তিনি আমার অবহেলা বুঝতে পেরে আমাকে এখনো বকা দেওয়া রাগারাগি করেনি ,তবে অবস্যই করবে ,,আমাকে অনেক কষ্ট লাগা কথা বলবে আমি জানি ,কিন্তু আমি উত্তর দিতে পারিনা কোনোদিন মায়ের কথার উপরে ,আর সে গালিগালাজ করলেও আমি তাকে কখনোই প্রকাশ করতে পারবোনা যে কেন তার উপরে মন খারাপ আমার ,সেই সাহস আমার নেই ! আজকে মা দোকানে যেতে বললো ,আমি মুখের উপরে না করে দিয়েছি ,বলেছি এখন যেতে পারবোনা ,তখন উনি বলেন যে দুনিয়াতে কেও আপন না ,মুখের উপরে না করে দিলি , কোনো সন্তান আসলে আপন হয়না ,নিজেই শুধু নিজের আপন ,আর কেউ কারো আপন না ,এভাবে বলেন তিনি ,আমি চুপ ছিলাম , আমার ছোটভাইকে বলেন যে আগে তোর বাবাকে ছাড়বো ,তারপর তোর বোনকে। ...আমার ছোটভাই আমাকে লুকিয়ে বলে দিয়েছে কথাটা। আমার আর মায়ের মধ্যে এমনিতেও অনেক ভুল বুঝা বুঝি ,আমি তাকে বুঝি কিন্তু সে আমাকে সব সময় ভুল বুঝে,,ছোটবেলায় মায়ের কাছে ছিলামনা অনেক বছর ,বড়বেলায় একসাথে হবার পর থেকে অনেক অশান্তি ,মনোমালিন্য হয় ,ভুল বুঝেন উনি আমাকে সব সময় ,নিজেই কষ্ট পায় ,অথচ আমি এমন কিছু ভাবিনি ,বা করিনি ,কিন্তু সে ভুল মনে করে আমার প্রতি মনের দিক দিয়ে আরো আগেই দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে ,কিন্তু উনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন ,,,কিভাবে আমি তার সাথে মিথ্যে ভালো বেবোহার করবো !? কিভাবে তার প্রতি অনুভূতির সৃষ্টি হবে আবার ? কিভাবে তারপ্রতি ঘৃণা দূর করবো ,সব মেনে নিয়ে চুপ থাকবো কিভাবে ? উনি সবসময় ছেলেটির সাথে কথা বলেন ,বাহিরে সারি পরে গেলে পেট দেখা যায় ,মাথায় কাপড় তো দূরের কথা ,কি করবো আমি !? তারপ্রতি এরূপ ঘৃণার জন্য আল্লাহ কি আমাকে জাহান্নামে দিয়ে দিবেন !? পূর্বেও এই প্রশ্নটি করেছিলাম সঠিক উত্তর বা সমাধান পাইনি  তাই আবারো জিজ্ঞেস করলাম ,এরূপ ঘৃণার জন্য কি গুনাহ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো সুদ ভিত্তিক ব্যাংকে একাউন্ট খোলা জায়েজ নেই।
কারন এতে আপনি সুদ না খেলেও তারা আপনার টাকা খাটিয়ে সুদ খাবে,সুদি কর্মকান্ডে তারা আপনার টাকা লাগাবে,সুতরাং আপনার একাউন্ট খোলার মাধ্যমে আপনি সুদি কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন,তাই এসব ব্যাংকে একাউন্ট খোলা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু উক্ত ব্যাংকে আপনার একাউন্ট বাধ্যতামূলক ভাবে খুলতে হয়েছে, এক্ষেত্রে আপনার জন্য করনীয় হলো শুধু মূল বেতন আপনি তুলবেন।

এক্ষেত্রে লভ্যাংশ আসলে তাহা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

(০২)
এরূপ ঘৃণার জন্য আপনার গুনাহ হবেনা।

তবে আপনি তাকে বুঝানো ও তার হেদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা অব্যাহত রাখবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...