জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মেয়ে আবেগতারিত হয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছে।কিন্তু পিতা মাতা তারা বিবেক দ্বারা চিন্তা করতেছে।কেননা মা এই পৃথিবীতে মেয়ের আগে এসেছে।অনেক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছে।বিয়ে সম্পর্কে মার অভিজ্ঞতা বেশী হওয়াই স্বাভাবিক।এবং পুরুষ হিসেকে বাবাও আলাদা একটা অভিজ্ঞতা রয়েছে।
সুতরাং মেয়ের জন্য মা এবং ভাইয়ের পরামর্শ মেনে নেয়াই কল্যাণকর। তবে মেয়ে যদি অন্য কোনো চিন্তা না করে ঐ ছেলেকেই বিয়ে করে নেয়,ছেলে মেয়ে যদি উভয়েই বালেগ বালেগাহ হয়,আর ছেলের সাথে কু'ফুর মিল থাকে,তাহলে বিবাহ ছহীহ হয়ে যাবে।
যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
অভিভাবক ছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
,
★বিশেষ দ্রষ্টব্য, ছেলের শিক্ষাগত যোগ্যতা মেয়ের থেকে কম হওয়া শরীয়তের দিক থেকে বিবাহ ছহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাকর বিষয় নয়।
বিবাহ হয়ে যাবে।